“ঈশ্বর জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন… বাকি রয়ে গেল কাজটা…”, ১১ বছর পর ছোটপর্দায় ফিরে বললেন অভিনেত্রী পাপিয়া সেন

পাপিয়া সেন

অভিনেত্রীর অভিনয় অনবদ্য। কখনও অসুস্থতা, কখনও কোভিড সব মিলিয়ে লম্বা বিরতির পর ফের ছোটপর্দায় বর্ষীয়ান অভিনেত্রী পাপিয়া সেন। এই মুহুর্তে ‘কনে দেখা আলো’ ধারাবাহিকে তিনি নায়ক সোমরাজ মাইতির ঠাকুরমা। এতদিন পর ছোটপর্দায় এসে চারপাশে কি বদল অনুভব করছেন অভিনেত্রী?

এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কম কে হাসতে হাসতে বললেন, “শুরুতে এই প্রশ্ন অনেকেই করেছেন। প্রত্যেককে বলেছি, যেখানে ছেড়ে গিয়েছিলাম, সেখানেই ফিরে এসেছি। কেউ বদলাননি। কিচ্ছু বদলায়নি।”

ইদানীং অভিনেতা অভিনেত্রীদের বেশকিছু অভিযোগ শোনা যায়, কারও মত, গল্প শুরুতে একরকম। দিন এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে তাতে এত বদল আসে যে কাজ করতে অস্বস্তি হয়। কারও মত, নিজস্ব মেকআপ রুম থাকে না। মাঝপথে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

এই নিয়ে পাপিয়া বলেন, “আমি যে ধারাবাহিকে অভিনয় করছি সেটার গল্প কিন্তু খুবই মিষ্টি। দর্শকের পাশাপাশি আমার পরিবারের সবাই দেখেন। কেউ আজ পর্যন্ত খারাপ বলেননি। আমারও খারাপ লাগে না।”

অভিনেত্রী আরও বলেন, “বাবার বাড়িতে আমরা ভাই-বোনেরা মিলে বড় হয়েছি। আমাদের মা সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে ভালবাসতেন। আমার শ্বশুরবাড়িও তাই। হয়তো আমার মধ্যেও সেই গুণ থেকে গিয়েছে। তাই স্টুডিয়োয় পা রেখে যখন সকলের নাম ধরে ডাকি, ওরা ঘিরে দাঁড়ায়। আমি ওদের ঠাকুরমার বয়েসি। তা-ও ওরা আমায় ‘দিদি’ বলে ডাকে। আমার কোমরে কষ্ট বলে সোফা হাজির! কখনও সংলাপ ভুলে গেলে ওরা আমাকে ধরিয়ে দেয়।”

অভিনেত্রীর দাবি, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই তার। পাপিয়া বলেন, “ঈশ্বর জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। হয়তো কিছু কাজ বাকি। তাই মারণরোগকে হারিয়ে দ্বিতীয় জীবন আমার। কবে আছি কবে নেই! কারও দোষ তাই খুঁজি না। যত দিন আছি, কাজ করে যাই। সকলের মধ্যে সকলের হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।”