বাংলা অভিনয় জগতে বহু প্রতিভাবান অভিনেতারা রয়েছেন যারা খুব অল্প সময়ে নিজের সাফল্য ধরে রেখেছেন। তবে কিছু প্রতিভাবান তারকারা অকালে হারিয়ে গেছেন। এখনো ইন্ডাস্ট্রিতে রয়ে গেছে তাদের শূন্যতা। তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু শিল্প জগতকে হতবাক করে দিয়েছে।
১. দিশা গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
২. অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
দিশা গাঙ্গুলি পর ওই একই সালে অর্থাৎ ২০১৫ সালে ২৫ শে অক্টোবর পথ দুর্ঘটনায় মারা যায় প্রতিভাবান অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়। সপ্তমীর বিকেলে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের ওপর চন্দ্রকোনা রুটের একটি বাস পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়িতে ধাক্কা মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছিলেন অভিনেতা কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অকালে চলে যান স্বর্গীয় অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়। কিংবদন্তির অকাল মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রিকে পাথর করে দিয়েছিল। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি হারিয়েছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে।
৩. রনি চক্রবর্তী:
2015 সালটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য অভিশপ্ত ছিল। সেই বছরই তিনজন প্রতিভাবান তারকাদের হারায় ইন্ডাস্ট্রি। দিশা গাঙ্গুলি, পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও আরেক অভিনেতাকে হারিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রি। বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা রনি চক্রবর্তীর আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক হয়ে যায় গোটা বাংলা। এখনো তার মৃত্যু ধোঁয়াশা। অভিনেতার বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় এক পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল অভিনেতার মৃত্যু দেহ। পুলিশের সূত্র থেকে খবর পাওয়া যায় জিম করার পর সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় তার। যদিও তার পরিবারের দাবী, রনি খুব ভালো সাঁতার জানতেন। জলে ডুবে মৃত্যুর সম্ভাবনা কম। এই ঘটনা তার সহকর্মীদের পাশাপাশি তার ভক্তদের গভীরভাবে শোকাহত করেছে। ‘বয়েই গেল’ থেকে শুরু করে ‘জল নূপুর’ একাধিক ধারাবাহিক করেছিলেন রনি চক্রবর্তী।
৪.সুবর্ণা যশ
23 বছর বয়সী সুবর্ণার মৃত্যু অনেককে হতবাক করেছিল। ২০২০ সালে মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন এই অভিনেত্রী। বর্ণার বাবা -মা তার মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সর্বশেষ টিভি শো ‘ময়ূরপঙ্খী’তে পার্শ্বচরিত্রে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী।