রাজ চক্রবর্তীর জন্য সেদিন আরও একটা সুশান্ত সিং রাজপুত হতে পারত, বিস্ফোরক রাহুলের

অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়

পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সিনেমা ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এর হাত ধরেই অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য পাল্টে যায় কিন্তু সেই পরিচালককে নিয়েই একসময় সরব হন রাহুল।

একসময় তার মন্তব্য টলি পাড়ায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। সেই সময় রাজ-শুভশ্রীর ‘আবার প্রলয়’ টিজার প্রকাশ্যে আসে কিন্তু অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় শোরগোল পড়ে যায়।

সেই সময় bangla.aajtak.in-এর কাছে রাহুল জানিয়েছিলেন,  ‘চিরদিনই তুমি যে আমার ২০০৮ সালের ১৫ অগাস্ট ছবি মুক্তি পায়। ২০০৯-এর জানুয়ারিতে বাংলার এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রে রাজ চক্রবর্তী ইন্টারভিউ দিয়েছিল যে রাহুলের মতো খারাপ ছেলেকে ব্রেক দেওয়া আমার অন্যায় হয়েছে, ওর মতো খারাপ ছেলে হয় না, ওর সঙ্গে আর কাজ করতে চাই না। এবার কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কের অবনতি অনেকেরই হয়। কিন্তু আমিও তখন নিউ কামার, যে পায়ের তলায় জমি খুঁজছে। তখন রাজের ওই ওপেন ইন্টারভিউটা আমার পরিবার, বন্ধু ও চারপাশের লোকেদের ওপর কী প্রভাব ফেলেছিল সেটা রাজ জানে না। আর ওইভাবে বলাটা কতটা প্রভাব ফেলে একজনের কেরিয়ারে, সেটা ওর বোঝা উচিত ছিল। আমার খুব ভাগ্য ভাল যে আমি কলকাতা শহরে একা ছিলাম না। আমার পাশে পরিবার ছিল, মা ছিল, প্রিয়াঙ্কা ছিল, বাবা তখনও বেঁচে, তিনি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছিল। তাঁরা সবাই আমায় ঘিরে রেখেছিল বলে আমি সেই অবসাদ থেকে বেরোই নয়তো আমিও সুশান্ত সিং রাজপুত হতে পারতাম সেই সময়টায়।’

সুশান্ত সিং রাজপুত মতোই স্বজনপোষণকে মেনে নিতে না পারায় ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন রাহুল। তিনি আরও জানান, এটা কেন রাজ বলেছে এটা আমি বলতে পারব না। এটার পিছনে কি লজিক কাজ করেছে এটা আমি জানি না। ওর সঙ্গে আমার মতানৈক্য হয়েছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে, সেটা ব্যক্তিগত পর্যায়েও, আজকে সেটা বলে লাভ নেই, তিক্ত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি হবে, ব্যক্তি মানুষ অনেকে জড়িয়ে যাবে, যাদের কোনও দোষই নেই। সেই আলোচনায় আমি যাব না। কিন্তু একজন নিউ কামার, যে তোমারই হাতে তৈরি হয়েছে, তার সম্পর্কে সর্বাধিক প্রচলিত সংবাদপত্রে তুমি এটা বলে দিলে। তাঁর কেরিয়ারের প্রভাবটা? সেটা কেউ ভাবল না। একটা কথা আছে না কুড়ুল যখন একটা গাছকে কাটে কুড়ুল ভুলে যায়, গাছ মনে রাখে, আমি সেই গাছটা।’

Source: bangla . aajtak . in