অবশেষে নারী শক্তির জয়! দেবচন্দ্রিমার ভয়ে কিরণের ড্রোন-মাইক ফেরালেন সায়ন্ত

সায়ন্ত

কে বলে মেয়েরা মেয়েদের শত্রু? সেই প্রচলিত কথাকেই যেন ভুল প্রমানিত করলেন অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় এবং অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিরন মজুমদার আর সায়ন্ত মোদকের ব্রেকআপ এখনো শিরোনামে।

ইতিমধ্যে অনেকেই হয়তো সেই ঘটনা আপনারা ভিডিওতে দেখে ফেলেছেন। ব্রেকআপের পর ভিডিওতে এসে সায়ন্তের নোংরা মুখোশ খুলে দেন কিরন মজুমদার। আর তার পাশে এসে দাঁড়ায় সায়ন্তের প্রাক্তন দুই প্রেমিকা দেবচন্দ্রিমা আর প্রিয়াঙ্কা। তিন প্রাক্তন মিলেই সায়ন্তের বিরুদ্ধে মানাহানি, মারধরের এবং লোভীর মতো গুরুত্ব অভিযোগ আনেন।

প্রাক্তন প্রেমিকাদের দাবি সম্পর্কে থাকাকালীন তাদের মারধর করা হত। এমনকি সায়ন্ত তাদের থেকে টাকায় চলত কিন্তু স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে ফিরে তাকাত না। কিরণের সাথে ব্রেকআপের পরও নাকি কিরণের ড্রোন-মাইক আটকে রেখেছেন সায়ন্ত।

কিছুদিন ধরেই এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা হচ্ছে। তিনজন একজোট হয়ে জানিয়েছেন আর কোনও মেয়ের জীবন নিয়ে যদি সায়ন্ত খেলেছেন তাহলে তাদের কাছে থাকা সব প্রমাণ তারা সামনে আনবেন।

তিন নারীর এই সাহসিকতায় বাহবা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। তারা যে এই যুগের অনুপ্রেরণা এমনটাই মনে করছেন সকলে। বিশেষ করে সাহেবের চিঠি ধারাবাহিকের নায়িকা দেবচন্দ্রিমার সাহসিকতায় কুর্নিশ জানাচ্ছেন ভক্তরা।

কিরণের বিপদে দেবচন্দ্রিমা যেভাবে লড়ছেন তা সত্যিই অসাধারণ। এবার দেবচন্দ্রিমা র হুমকিতেই কিরণের ড্রোন-মাইক ফেরালেন সায়ন্ত। কয়েকদিন আগে নিজের ইউটিউব ব্লগে এসে দেবচন্দ্রিমা তার প্রাক্তন প্রেমিককে হুমকি দেন কিরণের ড্রোন-মাইক না ফেরত দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। আর ২৪ ঘণ্টা সময় দেন সায়ন্তকে।

দেবচন্দ্রিমার হুমকির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেবচন্দ্রিমার হাতে আসে কিরণের ড্রোন-মাইক। আর সেটা সম্ভব হয়েছে অভিনেত্রীর জন্যই।

শোনা যায়, সম্পর্ক থাকাকালীন দেবচন্দ্রিমা সায়ন্তের সঙ্গে মালদ্বীপের গিয়েছিলেন সেখানে পুরো খরচ ৩ লাখ থাকাটাই নাকি মেটাতে হয় দেবচন্দ্রিমাকে। এমনকি ট্র্যাভেল এজেন্সিকে টাকা দেওয়ার ভয়তে দেবচন্দ্রিমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তার প্রাক্তন প্রেমিক।

ড্রোন-মাইক হাতে পেয়ে দেবচন্দ্রিমা ব্লগে এসে সায়ন্তের উদ্দেশ্যে জানান, “ধন্যবাদ আপনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। এগুলো তো লোকের জিনিস। যাক কিছু তো অন্তত ভাল লাগল। এবার শুধু আরেকটা অনুরোধ, আপনার ব্লগে আমার সঙ্গে ভিডিওগুলো ডিলিট করে দিন। এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার কাছে আমার মেইল গেছে বা ইউটিউব থেকে নোটিফিকেশন গিয়েছে। আমার ভিডিওগুলো আমি আপনার চ্যানেলে দেখতে চাই না। এরপর আমার জীবনেও কেউ থাকবে। আমারও একটা ফ্যামিলি তৈরি হবে। আমি চাই না, তাঁদের জীবনে কোনওভাবে এটা প্রভাব ফেলুক। বুঝতেই পারছেন, ছোট বয়সে আমরা অনেক ভুল করে থাকি। এখন হলে অনেক সতর্ক থাকতাম।”