‘ত্রিনয়নী’, ‘দেশের মাটি’ দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন লড়াকু অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। পর্দায় নিজেকে প্রমাণ করে দর্শকের মনে জায়গা দখল করে নিয়েছিলেন এই মেয়েটি। পেয়েছিলেন অনুরাগীদের অগাধ ভালোবাসা, সাথে জুটেছিল নিন্দুকের সমালোচনা। এমনকি গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটিজেনরা, অভিনেত্রীর মৃত্যু কামনাও করেছে তারা। কিন্তু অন্যায় সহ্য করে বসে থাকার মেয়ে তো শ্রুতি নন। নেটিজেনদের তীব্র সমালোচনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন এই লড়াকু অভিনেত্রী। শ্রুতির সেই লড়াইয়ের গল্পও গোটা ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানে।
সেই লড়াকু মেয়েটির মনে কোথাও যেন আজ একরাশ অভিমান জমেছে। শহর ছেড়ে রয়েছেন নিজের বাড়ি কাটোয়ায়। যোগ্য সম্মান দিয়ে যদি এই ইন্ডাস্ট্রি তাকে ডাকে তাহলেই কলকাতায় ফিরবেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন শ্রুতি। ঠিক কি হয়েছে অভিনেত্রীর?
আনন্দবাজার অনলাইনকে ছোটপর্দায় ‘নোয়া’ ওরফে অভিনেত্রী শ্রুতি দাস জানিয়েছেন, “দুটো ধারাবাহিকে নিজেকে প্রমাণ করার পরও হাতে কাজ নেই তার। রোজ প্রমাণ দিতে হয় তিনি অভিনয়টা জানেন। ধারাবাহিকে ডাক পাচ্ছেন ঠিকিই কিন্তু ক্যামিও চরিত্র বা পার্শ্ব চরিত্রের জন্য। প্রচুর নতুন নতুন ধারাবাহিক আসছে। তবে কোথাও তিনি নেই। একটা ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর তাকে না জানিয়ে অন্য মুখ নেওয়া হয়”।
অভিনেত্রী আক্ষেপের সাথে জানায়, “আমি ইন্ডাস্ট্রির ভাষায় অনন্য। তথাকথিত নায়িকাও নই। তাই আমাকে নিলে অন্য ধারার গল্প ভাবতে হবে। সময় এলে হয়তো ডাকবে”।
শ্রুতি আরও বলেন, “একুশে দাঁড়িয়ে যারা ভাবেন, পরিচালক বা প্রযোজক প্রেমিক হলেই তার ধারাবাহিকে তার প্রেমিকাই নায়িকা হবে, তাঁদের মানসিকতাকে কুর্নিশ জানাই”।