
বর্তমানে জি-বাংলার ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকে অনির্বাণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সুমন দে। এর আগে একাধিক ধারাবাহিকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করছেন সুমন। ‘নকশি কাঁথা’ ধারাবাহিকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলের ‘Tolly Factz’ এর সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বাস্তব জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অভিনেতা এই সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ভীষণ ভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসী। অভিনেতা বলেন, অনেকে বলেন ভগবান যদি থাকত তাহলে জীবনে খারাপ হয় কেন? তবে অভিনেতার বিশ্বাস কিছু খারাপ জিনিস আমাদের আগের জন্মের কর্মফল পেয়ে থাকি। তবে ঈশ্বর সবসময় যা করেন আমাদের ভালোর জন্য।
ঈশ্বর রয়েছেন সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে সুমন জানান, তিনি ‘মিঠিঝোরা’ করার সময় একটা নতুন প্রোজেক্টে সুযোগ পান। সেই সময় মিঠিঝোরা করছেন। রাস্তায় সেই নতুন প্রোজেক্টের হোডিং দেখে তার খুব মন খারাপ করত। তিনি ঈশ্বরকে বলতেন এই নতুন হোডিং আমি থাকতে পারতাম। কেন আমি করতে পারলাম না এই কাজটা। আমাকে কেন একটা চলমান প্রোজেক্টে তুমি সুযোগ দিলে। কিন্তু পরিবর্তী সময়ে অভিনেতা বুঝতে পারেন ঈশ্বর ভালোর জন্যই করেছিলেন।
কারণ সেই নতুন প্রোজেক্ট মাত্র তিন মাসেই বন্ধ হয়ে যায় আর মিঠিঝোরা এখনও চলছে। এমনকি মিঠিঝোরার হাত দিয়ে রাই আর অনির্বাণের জুটি পর্দায় ভীষণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই অভিনেতা মনে করেন তার উপর ঈশ্বরের সম্পূর্ণ আশীর্বাদ রয়েছে।
আরও একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘একসময় বাবা-মাকে নিয়ে তারাপীঠ গিয়েছিলাম। শিয়ালদা স্টেশনে আচমকাই বাবার স্ট্রোক হয়। আমি বুঝতে পারিনি কারণ স্ট্রোকের লক্ষণ কি আমি জানতাম না। ভেবেছিলাম আমরা হয়তো বাবাকে নিয়ে ফিরতে পারব না। আমি আর মা দিশেহারা। সেই অবস্থায় তারাপীঠ পৌছাই। সেখানে গিয়ে ওষুধ পত্র নিয়ে আসি। মন্দিরে গিয়ে মাকে বললাম বাবাকে যেন সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সেখান থেকে মায়ের আশীর্বাদে সুস্থ করিয়ে বাবাকে বাড়িতে নিয়ে এলাম। বাবা এখন অনেক ভালো রয়েছেন।’