‘বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ক্লাস নাইন থেকে আমায় সংসার চালাতে হয়…সবাই বলে আমি খুব অহংকারী’, মুখ খুললেন ছোটপর্দার অপর্ণা ওরফে দিতিপ্রিয়া

অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়

বর্তমানে জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে নায়িকা অপর্ণার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়। ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র বহু বছর পর পর্দায় ফেরা তার। আবারো বাজিমাত। মাত্র এক মাসের মধ্যে তার অভিনীত ধারাবাহিক আবার চর্চায়।

জিতু কমলের বিপরীতে তার জুটি নিয়ে এখন বাংলা টেলিভিশনের মাতামাতি। যদিও এই প্রথম নয় এর আগেই তিনি নিজের প্রতিভা প্রমান করে দিয়েছেন দর্শকদের কাছে।

মাত্র ছয় বছর বয়সে দুর্গা হয়ে ছোটপর্দায় পা রাখা। ছোট বয়সে তার অভিনয় দেখে পরিচালকরা অবাক হয়ে যেতেন। ছোট বয়স নিজের প্রতিভার জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা দখল করে নিয়েছে এই মেয়েটি।

একসময় এবিপি আনন্দের এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানান, অভিনয় জগতে কিভাবে সে চলে আসে সেটা সে নিজেও জানেন না। আগে কখনো অভিনয় সেভাবে শেখেননি তবে সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। ক্লাস এইট পড়াকালীন সে বুঝতে পারে অভিনয় পেশাটা তার খুব ভালো লাগছে তাই এটা নিয়েই এগোবে।

অভিনেত্রী আর জানান, “তিনি অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশুনোকে সমান তালে চালিয়েছেন কারন কেউ যেন তাকে বলতে না পারে ও তো অভিনেত্রী ওর দ্বারা কিছু হবে না। তাই মনের জোর ছিল শত বাধা এলেও পড়াশুনায় যাতে কোনো বাধা না আসে।”

অপর্ণা থুড়ি দিতিপ্রিয় বলেন, “যখন ক্লাস নাইনে পড়ি তখন বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে এসে পরে। এরপর রাণী রাসমণি র অফার আসে। আমাকে সেই সময় বেছে নিতে হয় সিনেমা নয় সিরিয়াল। সিরিয়ালে যেহেতু বেশি রোজগার তাই সেই সময় সংসারের দায়িত্ব সামলাতে সেটা বেছে নিই। ওটা আমার কর্তব্য। রাণী রাসমণি তিন মাস করার কথা ছিল তবে দর্শকের ভালোবাসায় সেটা লম্বা সময়ের জন্য হয়।”

অভিনেত্রী আরো যোগ করেন, “ছোট বয়স হলেও বাবা মা সকলের দায়িত্ব আমি এখন বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারছি এর থেকে আমার কাছে সেই ছোট বয়সের চাপ খুব বেশি হতে পারে না। সেই সময় বাবা বেঁচে থাকার জন্য এতটা কষ্ট সহ্য করেছেন, যুদ্ধ করেছেন তাহলে আমি কেন পারব না?”

দিতিপ্রিয়া বলেন, “সেই সময় যেখানে যেতাম সবাই ‘রাণীমা’ বলে ডাকত। ছোট বয়সে এত বড় সাকসেসফুল চরিত্র আমাকে দিতিপ্রিয় হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। রাণী রাসমণি দিতিপ্রিয়াকে অনেকটা বদলে দিয়েছে।”

নিজের জীবন নিয়ে অভিনেত্রী জানান, “আমি সেলিব্রেটি তকমাটা পছন্দ করি না। আমি খুব কম কথা বলি তাই লোকে বলে আমি খুব অহংকারী কিন্তু সেটা নয়। আমি একটু কম কথা বলি তাই বলে এই নয় আমি মাটিতে পা দিয়ে চলতে পারি না। আসলে আমি ‘হোম সিক’। আমি বাড়িতে থাকতে পছন্দ করি আবার কেউ যদি আমার সাথে সেলফি তুলতে আসে আমার খুব ভালো লাগে কারন আজ তাদের জন্যই আমি এই জায়গায় কিন্তু অনেক সময় হয়তো আমরাও মানুষ মন খারাপ থাকতেই পারে তাই হয়তো অনেকে বলে দেয় অহংকারী।”