অভিনেত্রী শ্রুতি দাস, বাংলা বিনোদন জগতের একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী। একসময় গায়ের রং নিয়ে মিলেছি তীব্র সমালোচনা এবং কটাক্ষ। এমনকি প্রথম দুটি ধারাবাহিকের নায়িকা হয়েও তাকে ভালো কাজের জন্য কয়েক বছর বসে থাকতে হয়েছিল।
তবে সব কটাক্ষকে তুড়ি মেরে শ্রুতি দেখিয়ে দেন অভিনেত্রী হতে গেলে প্রয়োজন অভিনয় সত্ত্বা। আর নিজের অভিনয়ের জন্যই আজ বড়পর্দায় কাজ করছেন তিনি। পরিচারক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার কে বিয়ে করে ধেয়ে আসে কটাক্ষ। শ্রুতিকে শুনতে হয় কাজ পাওয়ার লোভেই নাকি স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
তবে অভিনেত্রী রাতারাতি জনপ্রিয়তার পিছনে তার স্বামী স্বর্ণেন্দু নয়, রয়েছে সাহানা দত্তের অবদান। প্রথমদিন তাকে দেখে স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার নাক কুঁচকে ছিলেন। সেই কথা তুলে ধরলেন আনন্দবাজার ডটকম দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
শ্রুতি জানান, ‘প্রথম সিরিয়ালে যখন ঢুকে ছিলাম, তখন আমার লুক সেটের সময় আমার বরই ফটোগ্রাফারকে বলেছিলেন, ‘আর মেয়ে ছিল না।’ কারণ ও আমার মধ্যে কোনও এক্স ফ্যাক্টর দেখতে পায়নি। এই এক্স ফ্যাক্টরটা সাহানা দত্ত দেখেছিলেন। এই এক্স ফ্যাক্টরের নিরিখেই তিনি বলেছিলেন ‘ত্রিনয়নী’ করলে শ্রুতি দাসই করবে, না হলে কেউ করবে না। আমার কাছে ইন্ড্রস্ট্রিতে তিনি সবার উপরে। তারপর স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। সবাই তো বলেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার টেনে এনেছেন। কিন্তু আমার কাছে সাহানা দত্ত সেই মানুষটা যে ইন্ড্রাস্ট্রিতে আমাকে জন্ম দিয়েছেন।’
পুরনো অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শ্রুতি বলেন, ‘প্রথম মেগাতে রূপটান শিল্পী আমার গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন যদিও তিনি এখন আর জীবিত নেই। তিনি বলেছিলেন, তুই না একদম চিন্তা করবি না। তোকে গায়ের রং নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলে তো সবাই। তুই প্রতিদি যে মেকআপ করছিস। দেখবি একদিন এই মেকআপের রঙে রঙেই তুই সাদা হয়ে যাবি।’ এটা একটা।’।
অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘দেশের মাটি সিরিয়াল করতে গেলাম। সেখানে এক মেকআপ আর্টিস্ট বললেন, ‘হিরোইনের গলায় আর হাতে মেকআপ করতে করতেই তো প্যানস্টিক শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রোডাকশনকে বলো অতিরিক্ত টাকা দিতে।’ তবে পরবর্তীকালে সেই মেকআপ আর্টিস্ট আমার জন্য আমার বরের মেগায় কাজ পেয়েছিল। আমি জিতেছি এখানে।’