‘রেজেস্ট্রি হয়ে গিয়েছে…’, স্বপ্নপূরণ সায়কের! জীবনে বড় পদক্ষেপ নিলেন অভিনেতা

সায়ক চক্রবর্তী

ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ সায়ক চক্রবর্তী। দর্শক যাকে এই মুহূর্তে ‘চিরসখা’ ও ‘তুই আমার হিরো’ ধারাবাহিকে দেখছেন। অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি একজন ব্লগার হিসাবে প্রায়শই নিজের জীবনের খুটিনাটি অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন।

তবে এবার জীবনে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন অভিনেতা। রেজেস্ট্রি হয়ে গিয়েছে সায়কের। অবশেষে স্বপ্নপূরণ হল অভিনেতার। তবে এটা কোন বিয়ের রেজেস্ট্রি নয়, নতুন জমি কিনেছেন অভিনেতা। আর সেই জমির রেজেস্ট্রির কথা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সায়ক।

সায়ক বলেন, আমাদের বাড়ি বলতে সে রকম কিছু ছিল না। দাদুর একটা বাড়ি ছিল সেটা কাকা নিজের নামে করে নেন। তারপর আমরা ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করি। এভাবেই মাঝে প্রায় ১০-১২ বছর কেটে যায়। বছর বছর আমাদের ভাড়া বাড়ি বদলাতে হত। তারপর আমি ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য’ এবং ‘আমি সিরাজের বেগম’ এই দুটো মেগা থেকে যে পারিশ্রমিক পেয়েছিলাম তা জমিয়ে ২০১৯ সালের ১৫ অগস্ট আমি এই ফ্ল্যাটটা কিনেছিলাম।’

‘তবে ফ্ল্যাটটা খুব ছোটো ছিল। তখন মনে হয়েছিল যে ভাবেই হোক নিজের একটা মাথা গোঁজার ঠাই করতে হবে। কিন্তু আমাদের ফ্ল্যাটটা যেহেতু বেশ ছোটো ছিল, তাই দাদা আমাদের সঙ্গে এক বাড়িতে থাকতে পারতেন না। সেটা গিয়ে কোথাও একটু খারাপ লাগত। কিন্তু সেই সময় আমাদের পক্ষে বড় ফ্ল্যাট কেনা সম্ভবও ছিল না। কারণ তখন আমাদের এত বাজেট ছিল না। তবে জেদটা ছিল যে, একটা জমি কিনতে হবে তারপর সেখানে বাড়ি করতে হবে।’

সায়কের কথায়, ‘জমি যখন কেনা হয়ে গেল, তখন আবার আমরা লোন পাচ্ছিলাম না। এত দূর এগিয়ে যখন এটা ঘটল তখন খুব ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ বাইপাসের কাছে একটা জমি এভাবে পেয়ে হাতছাড়া হয়ে যাবে এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল।’

‘কিন্তু পরের দিনই আমরা লোন পেয়ে যাই। তারপর আমি জমিটা কিনে ফেলি। বুধবার রেজেস্ট্রিও হয়ে গিয়েছে। এইভাবে যদি বাড়িটাও হয়ে যায়, তাহলে ভালো হয়। এখন সব কিছু খুব ভালো ভাবেই হচ্ছে। হ্যাঁ, জীবনে সবটা ভালো হবে তা তো না, খারাপটাও হয়। তবে সবটাই তো আমাদের গ্রহণ করতে হয়। আসলে সবটা নিয়েই তো আমাদের জীবন।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মা ও দাদার সঙ্গে ছবিপোস্ট করে সায়ক লেখেন, ‘স্বপ্ন শুধু দেখলেই হয়না সেটা সফল করার চেষ্টা নিজেকেই করতে হয়। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা আর ঈশ্বরে বিশ্বাস করে…ভাড়া বাড়ি থেকে ফ্ল্যাট বাড়ি এখন নিজের জমি এবার বাড়ি বানানোর পালা। নেশা করে টাকা নষ্ট না করে, অন্যের পেছনে টাকা না উড়িয়ে, সাধারন জীবন যাপন করে, বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে,মানুষের ক্ষতি না করে, মানুষের খারাপ না চেয়ে এভাবেও ভালো থাকা যায়।’