বর্তমানে প্রায়শই বাবা-মায়েরা ভেবে থাকেন তাদের সন্তানরা যদি কোন খ্যাতনামা গুরুর কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিতে পারে তাহলে হয়ত তারা কোন বড় রিয়েলিটি শোয়ে সুযোগ পেয়ে যাবে, কিংবা হয়ত বা সহজেই বিখ্যাত হয়ে যাবে।
তবে প্রকৃত সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে কি কি করা উচিৎ সেই সম্পর্কে মুখ খুললেন সারেগামাপার প্রাক্তন প্রতিযোগী প্রীতম রায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রীতমের করা পোস্টটি ভীষণ রকম ভাবে ভাইরাল হয়। কি ছিল তার পোস্টে?
পোস্টে প্রীতম লেখেন, ১)বাচ্চা কে স্টেজে উঠিয়ে গান না গাইয়ে, সঠিক চর্চায় আবদ্ধ করুন (অন্তত একটানা ১৫-২০ বছর)।শখে আর যাই হোক অন্তত গানবাজনা হয়না।সেটা বয়সের সাথে আপনি এবং আপনার বাচ্চা বুঝেযাবেন।
২)শুধুমাত্র রিয়ালিটি শো তে গাওয়ার বা সুযোগ পাওয়ার জন্য গান শেখা বন্ধ করুন।
৩)সঠিক গুরু নির্বাচন করুন যে গান তোলানোর বদলে ভিত শক্ত করার পেছনে সময় দেয়।
৪)নিজের বাচ্চাকে কিশোর,লতা,রফি,আশা ভাবা বা বলা বন্ধ করুন।
৫)টাকা রোজগার করার জন্য গান শেখা বন্ধ করুন।আপনি সঠিক তৈরী হলে আপনাকে টাকা রোজগারের কথা ভাবতে হবেনা বরং তা নিজেনিজেই আপনার রোজগারের মাধ্যম হয়েযাবে।
৬)গান গাইতে পারলেই সে শিক্ষিত শিল্পী এটা ভাবা বন্ধ করুন।
৭)১-২ বছরে সঙ্গীত শেখা যায় এটা ভাবা বন্ধ করুন। সারা জীবনও কম একবিন্দু সঙ্গীত শিক্ষার জন্য।
৮)শাস্ত্রীয়সঙ্গীত একঘেয়ে ভাবা বন্ধ করে পারলে ওটাই শিখুন। আপনার পর্যাপ্ত ধৈর্য্য ক্ষমতা না থাকায় হয়তো আপনার ওইটা মনে হয়। নইলে ভিত ছাড়া বাড়ি যখন তখন ঝড়ে উড়েযায়।
৯)মাথা থেকে পারলে এই অহংকারবোধটা সরিয়ে দিন যে আপনিই একমাত্র দারুন গান গাইতে পারেন। হয়তো অনেক গুনি ব্যক্তির কাছে সেটা জলভাত। আপনাকে জায়গায় দাঁড়করিয়ে ঘাম বারকরে দিতে পারে।আপনার থেকে বয়সে ছোটোও হতে পারে।সবসময় সঙ্গীতের ছাত্র হিসাবে নিজেকে গ্রহণ করুন।
১০)সঙ্গীত কে কখনো ছোটো করে দেখবেন না , আপনি সারা মাসে যেই টাকা রোজগার করেন সেটা হয়তো একজন সঙ্গীত শিল্পীর একদিনের রোজগার, মাস তো ছেড়েই দিলাম। তাই অযথা জিজ্ঞেস করবেন না যে গান ছাড়া আর কি করেন।
সূত্রঃ bangla . hindustantimes . com