সোমবার সকাল থেকেই শুটিং সেটে নেই দিতিপ্রিয়া। নায়িকাকে ছাড়াই বহাল রয়েছে চিরদিনই তুমি যে আমাররে শুটিং। ধারাবাহিকে শুটিং করতে করতে একসঙ্গে খাওয়া, আড্ডা দেওয়া, বলতে গেলে একটা টিম হয়ে গিয়েছিল। আর টিমে ছিলেন দিতিপ্রিয়াও। আচমকা নায়িকার বিদায়ে মন খারাপ সকলের। এমনটাই জানালেন পর্দার সুমি (সুচন্দ্রা বন্দ্যোপাধ্যায়) ও কিংকর (অভ্রজিৎ চক্রবর্তী)।
পর্দায় কিঙ্করের সঙ্গে খুব একটা অপর্ণার ভাব না থাকলেও কিংকরের কথায়, “বাস্তবে কিন্তু আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। দিতিপ্রিয়া বড্ড ছোট। ওর সঙ্গে কেন খারাপ সম্পর্ক তৈরি হবে? ওর সঙ্গে কারও সম্পর্কই খারাপ ছিল না। ইদানীং সমাজমাধ্যমে সকলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বড্ড নাক গলানোর অভ্যাস শুরু হয়েছে। সেটা বোধহয় ঠিক নয়।”
সকাল থেকেই শুটিং সেটে জীতু কমলের সঙ্গে একের পর এক দৃশ্যের শুটিং করেছেন কিংকর ওরফে অভ্রজিৎ, গল্প অনুযায়ী হারিয়ে গিয়েছে অপর্ণা। দুই বন্ধু মিলে খুঁযে চলেছে অপর্ণাকে। “বাস্তবেও যে এ রকমই কিছু হবে, ধারণা ছিল না”,বললেন অভ্রজিৎ।
প্রথমবারে ঝামেলা মিটেই আবার একসঙ্গে দিব্যি কাজ করছিলেন জিতু-দিতি। তবে কি সেই ঝামেলা আদেও মিটেছিল? পর্দায় অপর্নার মা সুমি ওরফে সুচন্দ্রা বললেন, “জানেন, ছোট্ট কুকুরছানাগুলো আজও দিতির ঘরে এসে শুয়ে আছে। সমানে খুঁজছে ওকে। ওরা পর্যন্ত দিতিকে খুব ভালবাসত। খুব কষ্ট হচ্ছে। এটা কাম্য ছিল না। জীতু-দিতিপ্রিয়া জুটিকেই চেয়েছিলেন দর্শক। কোনও একজনকে নয়।”
এবার নতুন নায়িকার মা সুমি? “এটাই নিয়ম। পেশাদার অভিনেত্রী হিসাবে প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করাই আমার কাজ। সেটা করব। কিন্তু খুব কষ্ট হবে।” বললেন সুচন্দ্রা।

