বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান প্রজন্মের এক ঝাঁক তারকাদের মধ্যে দিতিপ্রিয়া রায় সেই মুগ্ধতার নাম যার অভিনয়ের জাদুতে মোহিত হওয়া যায় অনায়াসেই।
সেই ছোট বয়স থেকে অভিনয় করছে এই মেয়েটি। বয়সের তুলনায় তিনি অনেক বেশি সাবলীল এবং তার অভিনয়ের মধ্যে নূন্যতম জড়তা নেই। তার অভিনয় হার মানাবে বড় বড় অভিনেত্রীদেরও।
মাত্র ৬ বছর বয়সে অভিনয় জার্নি শুরু। ছোট দিতিপ্রিয়ার পথ চলা শুরু হয়েছিল স্টার জলসার দুর্গা সিরিয়ালের (গৌরী চরিত্রে) হাত ধরে। তারপর অপরাজিতা , বামাখ্যাপা, তোমায় আমায় মিলে, তারে অমি চোখে দেখিনীর মতো সিরিয়ালে এই ছোট খুদের প্রতিভা সত্যিই তাক লাগিয়ে দিত দর্শকদের।
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা ছোট বয়স থেকেই ছোট পর্দা এবং বড় পর্দায় কাজ করেছেন। তখনের সেই ছোট মেয়েটি ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায় তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের সাথে সিনেমা করেছেন। রাজকাহিনীর মতো সিনেমা দুরন্ত অভিনয় করে মেয়েটা সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের মন জুড়িয়েছে বারবার।
সেদিনের সেই ছোট দিতিপ্রিয়া আজ কলেজে পাড়ি দিয়েছে। আজ গ্রাম বাংলার সকল মানুষ তাকে চেনে রানীমা ডাকে। ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ ধারাবাহিকে রানীমার চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মনে প্রবলভাবে দাগ কেটেছে দিতি।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ৫৩ বছরের রানীমার চরিত্রে অভিনয় করা মুখের কথা নয়। কিন্তু মাত্র ১৭ বছর বয়সী মেয়েটি তার অনবদ্য অভিনয়ে ‘রানি রাসমণির’ রানীমার চরিত্র অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলছেন টিভির পর্দায়। সত্যিই দিতিপ্রিয়ার অনবদ্য অভিনয় ছাড়া এত বড় ধারাবাহিক অসম্ভব ছিল।
রানীমার চরিত্রে তার জনপ্রিয়তা একধাক্কায় ওপরে তুলে দিয়েছে। সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে তার অভিনয়, জিতে নিয়েছে শত শত মানুষের মন। এত অল্প বয়সে চূড়ান্ত সফলতা হয়তো দিতিপ্রিয়ার মতো অভিনেত্রী বলেই সম্ভব।