অভিনয় বাস্তব মিলেমিশে একাকার! দিতিপ্রিয়া-জিতুর দুর্দান্ত অভিনয়ে চোখে জল দর্শকের

দিতিপ্রিয়া-জিতু

এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিকের সবচেয়ে চর্চিত জুটি হল দিতিপ্রিয়া রায় এবং জিতু কমল। আর্য-অপর্ণার জুটিকে দর্শক যেন চোখে হারায়। তাই পর্দায় একদিন তাদের সিন না থাকলে মন খারাপ হয়ে যায় ভক্তদের। এতটাই দর্শক ভালোবাসা দিচ্ছেন এই জুটিকে।

তবে আর্য-অপর্ণার বাস্তব জীবনে মনোমালিন্য যেন প্রভাব পরে ধারাবাহিকে। টানা এক সপ্তাহ আর্য-অপর্ণার কোনও একসঙ্গে দৃশ্য ছিল না। এমনকি ধারাবাহিকের গল্প এমনভাবে নির্মাতারা দেখিয়েছেন যার কোনও মানেই নেই। চ্যানেল এবং এসভিএফ সংস্থার কাছে এই সিরিয়ালের দর্শকেরা অভিযোগও জানান।

এই ধারাবাহিকের গল্প নিয়ে দর্শকদের অনেক প্রত্যাশা। মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের গল্প কখনো অবাস্তব গল্প ফুটে ওঠেনি। যার জন্যই এই গল্প দেখতে এত পছন্দ করেন মানুষ। তবে বাস্তব জীবনে জিতু-দিতিপ্রিয়ার ঝামেলার কারণে একসাথে তারা অনেকদিন শুটিং করেননি যার জন্য ধারাবাহিকে গল্পে বেশ কিছু গাঁজাখুরি দৃশ্য দেখানো, যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি দর্শক।

তবে কথায় আছে, “যার শেষ ভালো তার সব ভালো”। দিতিপ্রিয়া আর জিতুর বিবাদ মিটতেই আবার ছন্দে ফিরে এলো ধারাবাহিকের গল্প। ৭ দিন পর আবার ধারাবাহিকে একসঙ্গে দেখা পাওয়া গেল আর্য-অপর্ণার। অসুস্থ শরীর নিয়ে অপর্ণাকে বাঁচাতে থানায় ছুটে যায় আর্য। আর তাদের মুখোমুখি হওয়ার সেই দৃশ্য যেন দর্শকের চোখে জল এনে দেয়। আর তার পুরোটাই প্রাপ্য জিতু-দিতিপ্রিয়ার অভিনয়।

গতকালের দৃশ্যে জিতু আর দিতিপ্রিয়ার অভিনয়ে চোখে মুখে যে কষ্ট, অভিমানের ছাপ যেন বাস্তবের সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে। দুজনের চোখ মুখের এক্সপ্রেশন যেন অভিনয়ের আলাদাই স্তরে পৌঁছে দিয়েছে।

কেউ লিখছেন, “আর্য-অপর্ণা অভিনয় দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব”। আবার কেউ বলছেন, ওদের দৃশ্য দেখে কেঁদেই ফেলেছি। আবার কারো মতে, “উফফ! একেই বলে অভিনয়।” বলাই বাহুল্য, দিতিপ্রিয়ার আর জিতুর নিজের অভিনয় দিয়েই যেন দর্শকের মনে ঝড় তুলছেন। বাস্তবে এত ঝামেলার পরেও একসাথে পর্দায় এরকম অভিনয় ফুটিয়ে তোলা পেশাদার অভিনেতাদের পক্ষেই সম্ভব। আগামীদিনে চিরদিনই তুমি যে আমার ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়বে এমনটাই মনে করছেন সকলে।