শৈশবে মারা গেছে বাবা-মা! নোংরা বস্তিতে জীবন কাটলেও আজ টলিউডের সেরা অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়

সন্ধ্যা রায়

বয়স ৮০ ছুঁইছুঁই, বাংলার স্বর্ণযুগ তো বটেই, পরবর্তী সময়তেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, কথা হচ্ছে টলিউডের বর্ষিয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় কে নিয়ে। ২৫ বছর ধরে সিনেমার জগতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন প্রবীণ অভিনেত্রী। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছান।

মাত্র ৭ বছর বয়সে পিতৃহারা হন,এরপর ৯ বছর বয়সে মারা যায় তার মা। অল্প বয়সেই বাবা-মাকে হারিয়ে মামা বাড়িতে অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে মানুষ হতে হয় তাকে। সেখান থেকে এক বস্তিতে শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই নিতে হয় তাকে।

বস্তিতে থাকাকালীনই কোন এক ছবির শুটিং দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে পরিচালক পশুপতি নাথ চট্টোপাধ্যায় প্রথম তাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। এরপর অন্তরীক্ষ ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান।

১৯৫৭ সালে সিনেমার পর্দায় আগমন সন্ধ্যা রায়ের। ‘মায়া মৃগয়া’, ‘গঙ্গা’, ‘কঠিন মায়া’, ‘রক্তপলাশ’, ‘পলাতক’, ‘ভ্রান্তিবিলাস’, ‘বাঘিনী’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘নিমন্ত্রণ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা। কেবল টলিউড নয়, বলিউডেও তাঁর অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন ‘জানে আনজানে’, ‘আসলি-নকলি’, ‘ফুল কে ফুল’-এর মতো ছবিতে।

১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদারের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সন্ধ্যা দেবী। দীর্ঘ কয়েক বছর সংসার করার পর সম্পর্ক ভেঙে যায় তাদের, ডিভোর্স না হলেও একসঙ্গে থাকতেন না তারা।

২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মেদিনীপুরের ভোটে দাঁড়িয়ে সংসাদ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে স্বামী তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর পর বর্তমানে একাকী জীবন কাটাচ্ছেন সন্ধ্যা রায়।