গানের জগতে আধুনিকতা যতই আসুক না কেন বাংলার লোকসঙ্গীতের আবেদন কখনও ফুরাবার নয়। ‘বড়লোকের বিটি লো’,‘বলি ও ননদী’-র মতো তেমনই কিছু জনপ্রিয় গান আজও লোকমুখে ছড়িয়ে আছে। এই গানগুলি গেয়েই একটা সময় দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বীরভূম সিউড়ির মেয়ে স্বপ্না চক্রবর্তী। বর্তমানে কেমন আছেন তিনি সঙ্গীতশিল্পী?
সত্তর-আশির দশকে গায়িকার সাফল্য চোখে পড়ার মত হলেও আজ কোন রকমে দিন কাটাতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু আজ সেই জনপ্রিয়তা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এমন একজন গুণী শিল্পীর প্রতিভা এভাবে হারিয়ে যাবে তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না।
গায়িকার কণ্ঠেও একই আক্ষেপের সুর। এই প্রসঙ্গে স্বপ্না চক্রবর্তী বলেন, “আমার এই গান দুটির ক্যাসেট সেই সময় প্রচুর বিক্রি হয়েছে ৷ গ্রামে গ্রামে অনুষ্ঠানের জন্য ডাক পেয়েছি ৷ একদিনে দুই থেকে তিনটে করে অনুষ্ঠান করেছি ৷ আমার এক অভিজ্ঞতা, গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের পর মানুষজন আমাকে ছুঁয়ে দেখতো, ‘এ তো মানুষ’ বলতো ৷ মানে মানুষই নয়, এমন জনপ্রিয়তা আমার ৷”
“আমার ক্যাসেট বিক্রি দেখে লতা মঙ্গেশকর বলেছেন, ‘বাংলার মেয়েটি কে, যার ক্যাসেট আমার থেকেও বেশি বিক্রি হচ্ছে । আমি দেখা করতে চাই’। পরে লতাজীর সঙ্গে কলকাতায় দেখা হয়েছিল । উনি অনেক সুনাম করেছিলেন ৷ এক মঞ্চে গানও করেছি আমরা ৷”
মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনে ৫ বছর রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন। কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীদের কাছ থেকে গানের তালিমও নিয়েছিলেন। তার গান এতটাই সুপারহিট ছিল যে একসময় লতা মঙ্গেশকর, মহম্মদ রফি, মান্না দে-এর মতো জনপ্রিয় শিল্পীদের সঙ্গেও মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছেন গায়িকা।
সুত্রঃ https:/ / binodonxp . com /