ড্যান্স বাংলা ড্যান্সের মঞ্চ থেকে চোখের বালি! ত্রিপুরার মেয়ে থেকে কলকাতায় ছোট একটা ভাড়া বাড়ি, কঠোর পরিশ্রম করেই আজ জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদীপ্তা রায়

অভিনেত্রী সুদীপ্তা রায়

বাংলা টেলিভিশনের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সুদীপ্তা রায়। বর্তমানে ধারাবাহিকে কাজ না করলেও খুব শীঘ্রই তিনি ফিরতে পারেন এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে তার সাক্ষাৎকারে। একসময় বাংলা টেলিভিশন একের এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে নায়িকা হিসাবে চুটিয়ে কাজ করেছেন।

অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শুরু হয় ড্যান্স বাংলা ড্যান্স এর মঞ্চ থেকে। সেখান থেকেই সিরিয়ালে সুযোগ পান। জি-বাংলার চোখের বালি ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের নজর কাড়েন নিজের অভিনয় গুণে। আশালতা’র চরিত্রটি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

‘আদরিনী’, ‘ক্ষীরের পুতুল’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পান। তবে খুব বেশি ধারাবাহিকে কাজ করেননি সুদীপ্তা। যেকয়টি করেছেন প্রত্যেকটিতে সাফল্য অর্জন করেছে। তাকে শেষবারের মতো দেখা যায় কালার্স বাংলা চ্যানেলে ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকে। চলতি বছরে মহালয়া’য় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি টলি ফোকাস ইউটিউব চ্যানেলের একটি সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় জার্নি নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল। সুদীপ্তা জানান, তার স্বপ্ন ছিল ড্যান্স। এই শো শেষ হওয়ার পর সিরিয়ালের অফার আসতে থাকে। ত্রিপুরা থেকে অডিশন দিতে আসা সম্ভব নয়, তাই যখন চোখের বালি ধারাবাহিকের সুযোগ আসে অভিনেত্রী মা সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতায় চলে আসবে। এরপরেই শুরু হয় স্ট্রাগল। ত্রিপুরা থেকে উঠে এসে কলকাতায় ভাড়া বাড়িতে থাকা, এখানকার আদব-কায়াদা সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে প্রথম প্রথম সমস্যা হয়।

ত্রিপুরার ভাষা সাথে যেহেতু কলকাতার ভাষা অনেকটাই আলাদা তাই অভিনেত্রীর ভীষণ অসুবিধা হত। তবে অভিনয় জগতে এসে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সবকিছুর পিছনে তার মায়ের কঠোর পরিশ্রম বেশি। তাই সুদীপ্তার মতে তিনি আজ যেখানে শুধুমাত্র তার বাবা-মায়ের জন্যই সম্ভব হয়েছে। ক্লাস নাইনে পড়াকালীন চোখের বালিতে সুযোগ আসে আর তারপর থেকে শুরু হয় অভিনয় জগতের যাত্রা।