প্রতিভা থাকলেও সুযোগ কোথায়? যোগ্যতা থাকা সত্বেও আজ প্রধান চরিত্র থেকে বঞ্চিত অভিনেতা দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী, দাবি দর্শকের

দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী

একসময় ‘কপালকুন্ডলা’-র কাপালিক চরিত্রের হাত ধরেই টেলি-পাড়াতে পা রেখেছিলেন এই অভিনেতা দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী। প্রথমেই তান্ত্রিক হিসেবে সকলের কাছে খ্যাতি অর্জন করেন। ভিলেন হোক বা হিরো সবেতেই তিনি দুর্দান্ত। এমনকি দেবজ্যোতির মন্দার চরিত্রটিও দারুণ সাড়া ফেলেছিল দর্শক মহলে।

মাঝেমধ্যে শর্ট ফিল্ম, মিউজিক ভিডিও এমকি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে এত সাফল্যের পিছনে ছিল কঠোর পরিশ্রম। সবচেয়ে মজার বিষয়, কলেজে পড়ার সময় তিনি নাকি বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলেন। তবে যেদিন থেকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন সেদিন থেকেই শুরু ঝামেলা। অভিনয় জগতে আসার জন্য রাজী ছিল না পরিবার। এমনকি তার বাবা জানিয়ে দিয়েছিলেন, “তাঁর টাকায় এসব করা চলবে না’।

অভিনয় জগতে আসার জন্য টিউশন পড়াতে শুরু করেন দেবজ্যোতি। সেই পয়সা দিয়েই কলকাতায় ঘুরে ঘুরে অডিশন দেন। মাঝেমধ্যে টাকা ফুরিয়ে গেলে সাহায্য করত মা। কিন্তু পাশে পাননি বাবাকে। পরিবারের বিপক্ষে গিয়েই থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু করেন।

দেবজ্যোতি রায়চৌধুরী

তবে বাস্তবতা হল প্রতিভা থাকা সত্বেও দেবজ্যোতি কে পর্দায় দেখা যায় পার্শ্বচরিত্রে বা খলচরিত্রে। দর্শকের প্রশ্ন, নায়ক হবার যোগ্যতা থাকা সত্বেও কেন মুখ্য চরিত্রে ফিরছেন না অভিনেতা?

তবে দর্শকের আশা, একদিন ঠিকই নিজেকে প্রমান করবেন অভিনেতা যে তিনি শুধু পার্শ্বচরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকার জন্য নয়, বরং গল্পের নায়ক হওয়ার যোগ্য একজন অভিনেতা।

কিছুদিন আগেই তুই আমার হিরো ধারাবাহিকে পাপাই চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন অভিনেতা। এই মুহুর্তে ‘লক্ষ্মীঝাপি’তে শ্রীপর্না রায়ের বিপরীতে দেখা যাচ্ছে দেবজ্যোতিকে।

Previous articleরইল ছাত্রছাত্রীদের জন্য সহজ ভাষায় সময়ানুবর্তিতা রচনা
Sudeshna Jana
হাই, আমি সুদেষ্ণা জানা। আমার প্যাশন লেখালেখি করা। আমি একজন লেখিকা। মানুষকে এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করি। তাই বিনোদন সংক্রান্ত বিষয় লেখালেখি করতে বেশি পছন্দ। দর্শকদের এন্টারটেইনমেন্ট দেওয়ার জন্য বিশ্বের সমস্ত ধরণের বিনোদন নিউজ তাদের কাছে এগিয়ে দেওয়াই আমার কাজ। বিভিন্ন ধরণের বিনোদন পেতে আমাদের এই পেজে অনুসরণ করুন।