গানের জগতে অন্যতম পরিচিত নাম সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। সঙ্গীত জগতে ৩০ বছর কাটিয়ে ফেললেও লাইমলাইটের বাইরে রূপঙ্কর কিন্তু একদন আদ্যোপান্ত ফ্যামিলিম্যান। স্ত্রী-কন্যাকে নিয়েই তার গোটা জগত।
গানবাজনার পরিবারে বড় হলেও বাবার মত গান নিয়ে ভবিষৎ গড়ার স্বপ্ন দেখেননি রূপঙ্কর বাগচী ও চৈতালি লাহিড়ীর কন্যা মহুল লাহিড়ী বাগচী। মহুল এখন অনেকটাই বড়। কলেজ জীবনও প্রায় শেষ হতে চলেছে তার।
দা ওয়াল কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রূপঙ্কর জানান, মেয়ে মহুল সাইকোলজি নিয়ে পড়ে। গ্রাফোলজি নিয়েও পড়ছে। ফরেন্সিক নিয়ে ওর পড়াশোনা করার ইচ্ছে। মেয়ের মিউজিক নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। আমি বা চৈতালি ওকে জোর করে মিউজিকে আনতে চাইনি।
রূপঙ্কর-চৈতালি’র দত্তক নেওয়া সন্তান হল মহুল। মাত্র ছ’মাস বয়সে তাদের অন্ধকার জীবনে আলোর রোশনি হয়ে আসে মহুল। এই প্রসঙ্গে রূপঙ্কর জানান, ‘দত্তক নেওয়া সন্তান জেনে প্রথমে একটু ধাক্কা খেলেও পরে সবটা সামলে নেয় মহুল।’
‘আমি চৈতালি খুবই বাস্তববাদী। আমি আমার মেয়েকে দত্তক নিয়েছি এটা লোককে বলার মধ্যে কোনও মাহাত্ম্য নেই। আমাদের মেয়ে তো। মহুল খুব সহজ ভাবেই মেনে নিয়েছিল জানার পর। সম্পর্কে এই স্বচ্ছতা জরুরি।
অন্যদিকে চৈতালি বলেন, ‘পরপর দুবার গর্ভপাতের পর আমরা সন্তান দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। মহুল আমার কোলে আসার পর ওই বেঁচে থাকার রসদ ছিল।’ দত্তক নেওয়া সন্তানের জন্য সমাজের কটাক্ষকে উপেক্ষা করেই তাদের সাজানো সংসার।