বর্তমানে ছোট পর্দায় দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে পাইরেসি। কি এই পাইরেসি? কোনও সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর দর্শক পেয়ে যেতেন পাইরেটেড ভার্সন। যার জন্য সিনেমা হলে গিয়ে দেখার ইচ্ছে থাকত না দর্শকদের। প্রচুর লোকসান হত ছবির।
পাইরেটেড সিডির বন্ধ করা গেলেও ডাউনলোড করে সিনেমা দেখেন আজও একাংশ। এইভাবেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক সিনেমা হল। বর্তমানে ঠিক একই চিত্র ফুটে উঠছে ছোট পর্দার ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়ার আগেই একাধিক অ্যাপে দৈনিক এপিসোড দেখে নিচ্ছেন দর্শক। এপিসোড ডাউনলোড করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নতুন ধারাবাহিক টিভিতে দেখার প্রবণতা দিন দিন কমছে। এইভাবে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ও হিট জুটি হলেও টিআরপি তালিকার দশেও আসতে পারছে না একাধিক ধারাবাহিক। যার ফলে ভালো অভিনয় ও গল্প থাকা সত্ত্বেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কিছু বাংলা সিরিয়াল।
একটু পিছনে ফিরলে দেখা যাবে, টিআরপি তালিকায় তেমনভাবে জায়গা করতে না পারায় হারিয়ে যায় অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটি হিয়া উজান । দর্শকদের মধ্যে মাইলস্টোন রচনা করেছে ‘এখানে আকাশ নীল’-এর হিয়া-উজানের জুটি।
বলাই বাহুল্য, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে একটা ট্রেডমার্ক তৈরি করে গেছে এখানে আকাশ নীল সিজেন ২। ধারাবাহিকের শেষ হওয়ার খবর পাওয়া মাত্র ‘ইয়ান’ অর্থাৎ হিয়া-উজানের অনুরাগীরা যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন, বাংলা ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে এমন উন্মাদনা কার্যত বিরল।
ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনুরাগীদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। একাংশ দর্শক নিজের জীবন দিতে রাজী ছিল। প্রচুর অনুরাগীরা ডিপ্রেসড হয়ে গিয়েছিল। এমনকি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করা ‘ঝিনুক’ প্রমিতা চক্রবর্তীকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
হিয়া-উজানের জন্য দর্শকের এমন উন্মাদনা বাংলা সিরিয়ালে আগে দেখা যায়নি। এমন জনপ্রিয়তা যেই জুটির, সেই ধারাবাহিক কেন টিআরপি পেল না? এক্ষেত্রেও কি সেই পাইরেসি? টিভির পরিবর্তে অ্যাপে এপিসোড দেখার কারনেই কি বন্ধ হয়ে গেল এমন সুপারহিট ধারাবাহিক?
ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেলেও কিন্তু এখনো ইয়ান বেঁচে রয়েছে তাদের ফ্যানদের হৃদয়ে। একজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে?