আরও একবার প্রাণ কাড়ল নভেল করোনা ৬৮ বছরের মহিলার। এই মহিলার বসস্থান ছিল ভারতের পশ্চিম দিল্লিতে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভারতে দ্বিতীয় মৃত্যু। ছেলের থেকে ভাইরাস সংক্রামিত হয়ে মারা গেলে মা, এমনটাই দাবি করেন সেখানকার চিকিৎসকরা।
ভারেতে প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেছিল ৭৮ বছররে একজন বৃদ্ধ, যিনি সৌদি থেকে ফিরে এসেছিলেন। তবে এই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে দ্বিতীয় মৃত্যু ব্যক্তি সংক্রামণ ঘটে তার ছেলের স্পর্শে।
গত ফেব্রুয়ারি এই মহিলার ছেলে ইতালি ও সুইৎজারল্যান্ড যাত্রা করেছিলেন। সম্ভবত দেশে ফেরেন ২৩ তারিখ। প্রথম পর্যায়ে তার শরীরে কোন উপসর্গ না দেখা দিলেও পরে তার দেহে হানা দেয় করোনা। দুদিন এর মধ্যে সর্দি-কাশি ও জ্বরের আক্রান্ত হন তিনি। দিল্লির রামমনোহন লোহিয়া হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করালে, রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জানা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করালেও ততদিনে তার মায়ের শরীরে এই ভাইরাস বাসা বাঁধে। দুইজনকেই রাখা হয় আইসোলেশনে।
এই করোনা আক্রান্ত মহিলার ডায়াবিটিস ও হাইপারটেনশনের রোগী। শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে এবং তাকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউ-তে ৯ মার্চ। শ্বাসজনিত সমস্যা দেখা দিলে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে হয় তবে ১৩ ই মার্চ মারা যান তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রন্ত ৮১ জন। ভারতীয় রয়েছে ৬৪ জন, ইতালির ১৬ জন এবং কানাডার বাসিন্দা একজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই করোনাকে আন্তর্জাতিক মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> ইয়েস ব্যাংক নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে ১৮ ই মার্চ
রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সমূহ অনুসারে ৮০ বছর বয়সীদের আক্রান্ত ঝুঁকি বেশি কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। তাই তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেরালা, ওডিশায় স্কুল, কলেজ, সিনাম হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। কারণ ওড়িশায় করোনা বিপর্যয় বলা হছে। বিশ্ব জুড়ে এই মহামারী প্রবল আকার ধারণ করছে। জারি হছে সতর্কবার্তা। সতর্কবার্তা জারির পাশাপাশি চাহিদা বাড়ছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের।
সর্বশেষে একটা কথা আতঙ্কিত না হয়ে বরং প্রস্তুত হন। এটি বিশ্বজুড়ে একটি নতুন ভাইরাস। যার শেষ করার পথ এখনও অনিশ্চিত। এটি সম্পূর্ণ মানুষের দ্বারা ছড়িয়ে পড়ছে। তাই নিজেকে করোনা থেকে বাঁচাতে পথ সম্পূর্ণ আপনার হাতে। বাইরে যাত্রা বন্ধ করুন। বিদেশ থেকে আগত মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন, মাস্ক ব্যবহার করুন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার করুন যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুরক্ষিত করুন।
(“সূত্রঃ- thehealthsite.com“)