জি-বাংলার ‘বয়েই গেল’ ধারাবাহিকে প্রথম পরিচয় অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়ের। পর্দায় এই দাদু-নাতনির জুটি আজও বাঙালি দর্শকের স্মৃতিতে গাঁথা। সেই প্রিয় দাদু আজ এই পৃথিবীতে নেই কিন্তু পড়ে আছে তার ফেলে যাওয়া মধুর কিছু স্মৃতি।
গত পয়লা মার্চ ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের রত্ন অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। পর্দার দাদুর জন্মদিনে আবেগপ্রবণ নাতনি কৃষ্ণা। ‘বয়েই গেল’ ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় ‘কৃষ্ণা’ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। আর দাদু হরনাথ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়।
বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে এক সংবাদমাধ্যমকে কিছু পুরনো স্মৃতি ভাগ করে নিলেন বাসবদত্তা। অভিনেত্রী জানান, মনু জেঠু সাদামাঠা এক নিপাট ভালমানুষ। পর্দায় শুধু দাদু ছিলেন তাই নয় বাস্তবেও আমাকে নাতনির মতো স্নেহ করতেন। সেটে উনি যতক্ষণ থাকত, হই হুল্লোড় চলত।
“ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরও মনু জেঠুর সঙ্গে ফোনে গল্প হত। আমি ফোন করলে নিজের নাম নিতাম না, পরিচয় দিতাম নাতনি হিসাবে। মানুষটা খুব খুশি হতেন”।
অভিনেত্রী এখনও মনে পড়ে সেই দিনটির কথা, যেদিন প্রোডাকশানের গাড়ি মনু মুখোপাধ্যায়কে বাড়িতে নামিয়ে অভিনেত্রীকে পোঁছে দেওয়ার জন্য রওনা হত। গাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত বাড়ির দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ড্রাইভারকে বারবার বলতেন ওকে সাবধানে পৌঁছে দিও। “মনু জেঠু আর নেই। হয়তো আমিও এভাবে একদিন চলে যাব। পড়ে থাকবে কিছু স্মৃতি”।