দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেও সুখের হয়নি দাম্পত্য জীবন। তবুও ভাস্বরকে শুনতে হয়, ‘ওর তো বিয়ে টেকে না। কেমন ছেলে কে জানে!’ যা শোনার পাত্র নন ভাস্কর। এই নিয়ে আনন্দবাজারের কাছে মুখ খুললেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।
ভাস্বরের কথায়, ২০০৬ সালে, প্রথম বিয়ে সম্বন্ধ করেই হয়। নাম প্লাবনী মুখোপাধ্যায়। বিয়ের ৩ মাসের মাথায় জানতে পারলাম বাবা হতে চলেছি। তখন আমি লন্ডনে। বাড়ি ফিরে এসে হঠাৎ একদিন ওর পেট ব্যথা, জানতে পারি, ও গর্ভপাত করিয়েছে। আমাকে বলেছিল, বাড়ি থেকে জোর করে নাকি বিয়েটা দিয়েছে।
গায়ে কালো দাগ করে, আমার নামে বলত আমি মেরেছি। আমার নামে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনায় দু দিন জেলেও ছিলাম। শেষমেশ আদালতে মামলা হল, জিতে গেলাম। কিন্তু বদনাম সেই রয়েই গেল।
ভাস্বরের দ্বিতীয় স্ত্রী উত্তমকুমারের নাতনি নবমিতা চট্টোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে প্রেম, তারপরেই বিয়ে। তবে এবারেও টিকল না সেই সম্পর্ক। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় ফের বিয়ে ভাঙে অভিনেতার। ভাস্বর জানান, বিশাখাপত্তনমে হানিমুনে গিয়ে নবমিতা তাঁকে বলে যে, সে অন্য কাউকে ভালোবাসে। বাড়ির চাপে বলতে পারেনি। ভিনেতা অবাক হয়ে বলেছিলেন, আমায় বললে আমিই তো ভেঙে দিতাম বিয়েটা! যাই হোক, একসঙ্গে থাকতে রাজি হন উত্তমের নাতনি। একসঙ্গে দুজনে তখন একাধিক অনুষ্ঠানেও যেতেন। ভিতরে ভিতরে সব ঠিক না থাকলেও, বাইরে আসতে দেননি।
এরপর নবমিতাই দাবি করেন, ভাস্বরের সঙ্গে ছবি তুলবেন না। তুললেও তা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া যাবে না। কারণ তাতে তাঁর প্রেমিক কষ্ট পায়। তাতেও রাজি হন ভাস্কর। ভাস্বরের কাছে শর্ত এসেছিল, ছাড়তে হবে মা-বাবাকে। সেই সময় ডায়ালেসিস চলছে অভিনেতার মায়ের। সেই শর্তে আর রাজি হতে পারেননি।
ভাস্বর জানান, বারবার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন নবমিতা তাঁকে। লোকের সামনে অপমান করত। প্রেমিকের সঙ্গে একদিন মাঝরাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিল। আবার ফিরেও আসত। এভাবেই কাটছিল জীবনটা। নবমিতা সাফ জানিয়েছিলেন, সন্তান নিতে চান না! এমনকী, মেয়ের ব্যবহারে ফোন করে ক্ষমাও চেয়েছিলেন নবমিতার মা।
নবমিতার সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর, আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন অভিনেতা। অনেক কষ্টে বেরিয়ে এসেছেন সেই যন্ত্রণা থেকে। বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আবারও অভিনয়ে মন দিয়েছেন ভাস্কর।

