পুরী যাওয়ার সেরা সময় । আবহাওয়া । ঋতু । তাপমাত্রা

পুরী যাওয়ার সেরা সময়আপনিও কি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তবে পুরী যাওয়ার জন্য কোন সময়টাকে বেছে নেবেন তা নিয়ে ভাবছেন। আজকের আর্টিকেলে থাকা পুরী যাওয়ার সেরা সময় ও পুরী আবহাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে।

বঙ্গোপসাগর বরাবর অবস্থিত, পুরীর আবহাওয়া মূলত সমুদ্র দ্বারা প্রভাবিত। যদিও এই শহরটি ধর্মীয় স্থান হওয়ায় সারা বছরই ভক্তদের ও পর্যটকরা জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে আসেন। তবে উপকূলীয় শহর পুরীতে গ্রীষ্মের মাসগুলিতে জ্বলন্ত তাপ এবং চরম আর্দ্রতা সহ্য করা কঠিন হতে পারে পর্যটকদের জন্য। তাই  শীতকালীন আবহাওয়াতেই পুরীর সমুদ্র সৈকত ঘুরে দেখার সেরা সময় হতে পারে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, পুরী শহরে কোন সময়ে কেমন তাপমাত্রা থাকতে পারে-

মাস উচ্চ/নিম্ন (°সে) বৃষ্টি
জানুয়ারি 26°/ 18° 3 দিন
ফেব্রুয়ারি 27°/ 20° 7 দিন
মার্চ 31°/ 24° 6 দিন
এপ্রিল 35°/ 25° 7 দিন
মে 39°/ 27° 2 দিন
জুন 32°/ 27° 14 দিন
জুলাই 31°/ 26° 24 দিন
আগস্ট 30°/ 26° 30 দিন
সেপ্টেম্বর 30°/ 26° 25 দিন
অক্টোবর 31°/ 25° 18 দিন
নভেম্বর 30°/ 22° 1 দিন
ডিসেম্বর 27°/ 19° 1 দিন

 

শীতকালে পুরী (অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি)

পুরী ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ সময় হল শীতকাল। অক্টোবর-ফেব্রুয়ারি মাস অর্থাৎ এই শীতকালীন আবহাওয়াতে তাপমাত্রা প্রায় ১৬-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, যা পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ, সৈকত পরিদর্শনের জন্য উপযুক্ত।

এছাড়াও শীতকালে নভেম্বর মাস নাগাদ পুরী শহরে বিচ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়, যা শহরটিতে আসা পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। এছাড়াও এই মরসুমে পুরী শহরে দেখার সেরা জায়গাগুলি হল শান্ত চিলিকা হ্রদ, রাজকীয় মার্কন্ডেশ্বর মন্দির, রঘুরাজপুর শিল্পী গ্রাম, দয়া নদী, পিপিলি এবং সুদর্শন কারুশিল্প যাদুঘর। এই শহরের বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত, যথা, পুরী সৈকত, স্বর্গদ্বার সৈকত, বলিহারচণ্ডী সৈকত, বলেশ্বর সৈকত এবং বালিঘাই সৈকতগুলির নিছক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি আদর্শ সময়।

বর্ষায় পুরী (জুন-সেপ্টেম্বর)

কাঠফাটা গ্রীষ্মের কবল থেকে বর্ষা কিছুটা রেহাই দিলেও বর্ষাকাল পুরী ভ্রমণের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এই সময়ে গোটা শহর জুড়ে ঘন ঘন বজ্রপাত সহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ বর্ষাকালীন সময়ে পুরীর অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র সৈকতের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা সম্ভব হবে না পর্যটকদের জন্য। এছাড়াও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকির কারণেও এই সময় সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য আদর্শ সময় নয়।

তবে জুন-জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় পুরী শহরের সবচেয়ে বড় উৎসব রথযাত্রা। এই সময়তে জগন্নাথ দেবের দর্শন পেতে দূরদুরান্ত থেকে আসে দর্শনার্থীরা।

গ্রীষ্মে পুরী (মার্চ-মে)

পুরীর গ্রীষ্মকাল সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত থাকে, যেখানে তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকে। পুরী সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর হওয়ায়, গ্রীষ্মকালে পুরীর আবহাওয়া থাকে চরম পর্যায়ে, অর্থাৎ অতিরিক্ত তাপমাত্রায় পুরী ভ্রমণের জন্য গ্রীষ্মকাল একেবারেই উপযুক্ত নয়।

Previous articleপুরীর সেরা খাবার । বেস্ট রেস্তোরাঁ
Next articleপুরী জগন্নাথ মন্দিরে পূজার সময়
Paromita Sen
হাই, আমার নাম মিতা সেন। একজন ব্লগ লেখিকা এবং ভ্রমণ প্রেমিক মানুষ। আমার শখ দেশের প্রতিটি প্রান্তে ভ্রমণ করা এবং বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা। ভারত এবং তার আশেপাশে ভ্রমণ করার সময় সেখানকার মানুষজন, স্থান, খাবার ও সংস্কৃতি বোঝার চেষ্টা করি। আমার কাছে জীবন অর্থ হল ভ্রমণ। বিভিন্ন ধরণের অ্যাডভেঞ্চারের সন্ধানে থাকি এবং এই সমস্ত সন্ধান মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসি। ভারতে এবং তার আশেপাশে সমস্ত জায়গার সংস্কৃতি, স্থান, খাবার ও অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজ জানতে আমাদের ট্র্যাভেল পেজের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।