শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও বিয়েতে খুশি ছিলেন না বীথি! ‘আমি তিনবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করি’, বললেন রুপা গাঙ্গুলি

অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলি

অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। যিনি বর্তমানে স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন। বহুবছর পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই অভিনয় জগতে ফিরেছেন তিনি। ধারাবাহিকে বীথি চরিত্রটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভিলেন শাশুড়ি মা হিসাবে।

‘মেয়েবেলা’ বীথি নিজের বৌমা মৌকে একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। এমনকি বাড়ির সকলে মৌকে ভালোবাসছে, বিশেষ করে ডোডো মৌকে সাপোর্ট করছে দেখলেই রেগে যান। কারণ তিনি বিবাহিত জীবনে সুখী নন। ডোডোর বাবা তার শাশুড়ি মায়ের কোথায় ওঠে-বসে। এমনকি নিজের স্বামীর থেকেও অবহেলা পেয়েছে। সেই কষ্ট বুকে চাপা রয়েছে বহুদিন ধরে। মুখ বুঝেই এতদিন সহ্য করেছে সে। তাই মৌয়ের ভালো দেখলেই তার কষ্ট হয়।

এতো গেল পর্দার কথা কিন্তু বাস্তবে? জানেন কি বাস্তবেও নাকি বীথি মাসি ওরফে রুপা গাঙ্গুলির বিবাহিত জীবন একেবারেই সুখের নয়, এমনকি তিনি নাকি তিনবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। এক সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজেই সে কথা তুলে ধরেন।

অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলি জানান,  ১৯৯২ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ধ্রুব মুখোপাধ্যায়কে তিনি বিয়ে করেন। তখন অনেক ছোট তিনি। সেই বিয়ে টিকিয়ে রাখতে নাকি অভিনেত্রী সব ছেড়ে হাউজ ওয়াইফ হয়ে যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। রোজ অশান্তির জন্য মানসিক অবসাদে চলে যান এমকি তিনবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন”।

অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি মনে করি একজন পুরুষের পক্ষে একজন সেলিব্রেটিকে তার স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা খুবই কঠিন। এটি করার জন্য একজনকে অত্যন্ত মুক্ত মনের হতে হবে। আমি কখনও সকাল ৯টার আগে বা রাত ১০টার পরে কোনও কল নেইনি। শ্যুট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের মেকআপ না তুলেই বাড়ি চলে আসতাম। একজন মেয়ের পক্ষে তাঁর পুরুষকে খুশি রাখার জন্য যা যা করা সম্ভব আমি সবই করেছি। কলকাতায় ধ্রুবকে নিয় থিতু হওয়ার জন্য অভিনয়ও ছেড়ে দিয়েছিলাম। এত কিছু করেও বিয়েটা বাঁচাতে পারিনি।’

অভিনেত্রী আরও জানান, ” আমি বিবাহিত জীবনে একবার নয়, চারবার নিজেকে কাজের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু ধ্রুব বদলাননি। তিনবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম। আমার ছেলের জন্মের আগে একবার পরে দুবার। তিনবারই আমি অনড় ছিলাম যে আমি আত্মহত্যা করতে চাই। প্রথমবার, আমি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেই। কোনও বারই সফল হইনি। আসলে ভগবান হয়তো চেয়েছিলেন আমি আরও সহ্য করি’।

রুপার কথায়, “আমি যখনই ডিভোর্সের কথা বলতাম, ধ্রুব ক্ষমা চেয়ে নিত”। ২০০২ সাল থেকে এরকমই চলছিল। ২০০৫ সালে এরপর অভিনেত্রী তার চেয়ে ৩ বছরের ছোট সঙ্গীত শিল্পী দিব্যেন্দুর প্রেমে পড়েন। সেই সময় নিজের স্বামীকে জানিয়ে দেন অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন তাই আর সংসার করতে পারবেন না।

এরপর কলকাতা ছেড়ে মুম্বইতে এসে দিব্যেন্দুর সঙ্গে লিভ ইনও করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছেদ হয় রূপা আর দিব্যেন্দুর। খনই মুম্বই থেকে কলকাতা আসতেন নিজের ছেলের সঙ্গে দেখা করতেন।

Source: bangla . hindustantimes . com

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here