এই মুহূর্তে জিতু কমল এবং দিতিপ্রিয়া রায়ের বিবাদে সরগরম টেলিপাড়া। সম্প্রতি দিতিপ্রিয়া কোনও রকম নাম না উল্লেখ করেই পোস্টে জানান তাকে নানা সময় নানা আপত্তিজনক মেসেজ পাঠিয়েছেন জিতু। এমনকি জিতুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন নায়িকা। অন্যদিকে দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে যাবতীয় কথোপকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে পালটা জবাবও দেন জিতু।
এসবের মাঝে বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন জিতুর প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতা দাস। আজকাল ডট ইন-কে নবনীতা জানান, বিচ্ছেদ হলেও জিতুর চারিত্রিক স্বচ্ছতা নিয়ে তার মনে কোনও ধন্দ নেই।
নবনীতার কথায়, ‘আমি ওকে নিপাট ভাল মানুষ বলেই চিনি। আমাদের সম্পর্ক থাকাকালীনও ও এরকম কিছু করেনি, যার জন্য ওর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। তাই ওর নামে এরকম অভিযোগ শুনে অবাকই হচ্ছি।’
নবনীতা শুধুমাত্র জিতুর সহধর্মিনী ছিলেন না। সহকর্মীও ছিলেন। নবনীতার কথায়, ‘জিতু আগাগোড়াই স্বল্পভাষী। নিজের ওজন বুঝে কথা বলেন। জিতু সেটে খুব বেশি কথা কখনওই বলে না। ওর ব্যক্তিত্ব সেরকম নয়। ও বেশিরভাগ সময়ই নিজের মতো থাকে। তবে ওর রসবোধ খুব সূক্ষ্ণ। কিন্তু তা বেশি কথা বলে বোঝাবার দরকার হয় না।’
জিতুর পক্ষ নিয়ে কথা বললেও দিতিপ্রিয়ার খারাপ লাগাকে একেবারে উড়িয়ে দেননি নবনীতা। দিতিপ্রিয়া অভিযোগ করেছিলেন, তার চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা শুনে জিতু জানতে চেয়েছিলেন নায়িকা প্রেগন্যান্ট কি না। এই প্রসঙ্গে নবনীতা বলেন,
‘দিতিপ্রিয়া বয়সে অনেকটাই ছোট। যেটা অনেকের কাছে নিছক ইয়ার্কি, তা ওর খারাপ লাগতেই পারে। তা ছাড়া কার ঠিক কতটা ইয়ার্কি নেওয়া ক্ষমতা থাকবে, সেটা তো আমরা ঠিক করে দিতে পারি না। তাই ওর খারাপ লেগে থাকলে সেটাও উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়।’