মনে পড়ে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সেই ছোট পান্তা ভাতের কুণ্ডু’র কথা? যার আসল নাম ছিল দীপান্বিতা কুন্ডু। কিন্তু ডান্স বাংলা ডান্সের মঞ্চে এমজি অর্থাৎ মিঠুন চক্রবর্তী ভালোবেসে তাঁর নাম দিয়েছলেন ‘পান্তা ভাতের কুণ্ডু’। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই ছোট পাকা মেয়েটির জন্য শোয়ের টিআরপি বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুন। মিষ্টি গোলগাল এই খুদেকে শুধু মিঠুন চক্রবর্তীই না, ভালোবেসে ফেলেছিলেন বাঙালিরা।
এই বহরমপুরের বাচ্চা মেয়েটি আজ আর ছোট নেই, সময়ের সাথে সাথে অনেকেটাই বড় হয়ে গিয়েছে। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলেও। ইউটিউব চ্যানেলের বিভিন্ন নাচের ভিডিও আপলোড করে। তাঁর ভিউসও অনেক। মাঝে ২০২১ সালে তার সঞ্চালনা করা শো এর আবার পুনঃসম্প্রচার করা হয়েছিল টিভির পর্দায়। এমনকি ২০২১ ডান্স বাংলা ডান্সে স্টেজে উঠে ‘পান্তাভাত’ গানের সঙ্গে আইকনিক স্টেপ করতে দেখা গিয়েছিল।
তবে আচমকাই ক্যামেরা-অ্যাকশনের চাকচিক্য থেকে নিজেকে কেন সরিয়ে নিলেন দীপান্বিতা? এখন কি করছে দীপান্বিতা? উচ্চমাধ্যমিক পাস করে এ বছর ‘নি ট’পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দীপান্বিতা। ছোট থেকেই লক্ষ্য ছিল পড়াশুনা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।
আনন্দবাজার ডট কমকে দীপান্বিতা জানান, ‘মা-বাবা কোনও দিন, কোনও বিষয়ে আমার উপর চাপ সৃষ্টি করেননি। কিন্তু আমার বরাবরই মনে হয়েছে পড়াশোনাটা আগে শেষ করা উচিত। সেই মতো নিজের লেখাপড়াকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তাই বলে নাচ করব না, তেমনটা একেবারেই নয়। নাচ আমার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।’মেডিক্যাল পড়ার সুযোগ না পেলেও প্যারা-মেডিক্যাল বা বায়োটেকনোলজি বিষয় নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার
পড়াশুনার দিকটা সামলে উঠে আবারও মঞ্চে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছে দীপান্বিতা। আগামী দিনে ফের নাচের তালিমও নিতে চায় সে। আপাতত পড়াশোনা আর শরীরচর্চা করেই সময় কাটছে তার। পাশাপাশি চলছে ইউটিউব দেখে নাচের প্রশিক্ষণ।

