“কাজ দেওয়ার নাম করে আমাকে বাড়িতে একা ডাকে, ওঁর স্বভাবটাই…”, ঋজু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন অলোকানন্দা গুহ

অলোকানন্দা গুহ।

অভিনেতা ঋজু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মেয়েদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। শুরুতে বৃষ্টি মন্ডল নামে এক মডেল অভিনেতার বিরুদ্ধে পোস্ট করতেই একের পর মেয়েরা সহ বাকি অভিনেত্রীরাও ঋজুর প্রতি একই অভিযোগ করে। এবার ঋজু সম্পর্কে মুখ খুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অলোকানন্দা গুহ।

সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে অলোকানন্দাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভেবেছিলাম এটা নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু সমাজমাধ্যমে দেখলাম কয়েকজন ওঁর সাপোর্টে কথা বলছে। আমি এটা নিতে পারলাম না। কারণ তাঁরা ওঁকে চেনেন না। যাঁরা ওঁকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন তাঁরা জানেন ও কী জিনিস।

২০১১ সাল তখন আমি ইন্ড্রাস্টিতে আসিনি। বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দিচ্ছি। সেইসময় আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যে আমাকে রিক্যুয়েস্ট পাঠাতো আমি অ্যাকসেপ্ট করে নিতাম। তাই অনেক ভুলভাল লোকও ছিল। সেই অ্যাকাউন্টে ঋজু আমাকে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ করেছিল। আমাকে বলেছিল, ‘তুমি কি কাজ খুঁজছ? তুমি আমার সঙ্গে দেখা করো।’ তারপর ও ওঁর বাড়ির ঠিকানা দেয়।’

‘আমি যখন ছোট বেলায় কাজে বা অডিশনের জন্য কোথাও যেতাম তখন আমি আমার মাকে নিয়ে যেতাম। এখানেও আমি আমার মা, কাকু, আমার বোন ওঁদের সবাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আর আমরা সঙ্গে সবাই যেতে ঋজু খুব অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েছিলেন। আমি সবাইকে কেন সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি তা নিয়ে বেশ বিরক্তও হয়েছিলেন।’

‘আমি তো ভেবেছিলাম আমাকে কাজের জন্য ডেকেছে। কিন্তু আমি ওখান থেকে বেরিয়ে আসার পর আমাকে হোয়াটঅ্যাপে মেসেজ করেন, ‘তুমি কি পাগল?’ আমি বলেছি কেন? তারপর তিনি বলেন যে, ‘আমি ভেবেছিলাম তুমি একা আসবে। তুমি এত জনকে কেন নিয়ে এলে? আমার মুডটা নষ্ট করে দিলে।’ তখন আমি ওঁকে বলি যে, ‘তুমি তো কাজের জন্যই ডেকেছিলে। আমি কাজের জায়গায় কখনও একা যাই না। আমি মা-বাবার সঙ্গেই যাই। আর ওঁরা ছাড়া আমি কোথাও যাই না।’ তারপর তিনি আমাকে ব্লক করে দেন।’

‘তারপর ওই অ্যাকাউন্টে অনেক আজেবাজে লোক থাকার জন্য শেষে ওই অ্যাকাউন্টটা ডিলিট করে দিই। ওই হোয়াটঅ্যাপটাও আমি আর ব্যবহার করি না। তারপর ২০১৫-২০১৬ সাল নাগাদ আমি এই অ্যাকাউন্টটা খুলি। তখন টুকটাক কাজ করাও শুরু করে দিয়েছি। এখানে ২০১৭ সালে ও আবার আমাকে ফ্রেন্ড রিক্যুয়েস্ট পাঠায়। আমি অ্যাকসেপ্ট করিনি। তখন আমাকে ম্যাসেঞ্জারে আমাকে পিং করে। লেখে, ‘হে ইউ লুক গুড ইন শাড়ি। আমি তাতেও রিপ্লাই করিনি।’

২০১১ সালে যখন আমাকে ম্যাসেজ করেছিল তখন ওঁর সিরিয়াল রমরম করে চলছিল। তাই ওঁর মানসিক অবস্থা খারাপ ওসব কোনও কারণ নয়, ওটা ওঁর স্বভাব।’

তিনি বলেছেন না তিনি চাইলে বলে দিতে পারতেন ওঁর প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ও যদি ওটা বলতো আর কী কী বেরিয়ে আসত। অন্য অন্য মেয়েরা কী কী প্রকাশ্যে আনত, তা বলার মতো না। তাই ও বলেছে ওটা ও নিজেই করেছে। ওটা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। অনেকেই আমাকে বলতে পারেন আমি কেন এখন বলছি, তখন বলিনি? তখন আমি পরিচিত মুখ ছিলাম না। আমি পোস্ট করলেও তখন স্যোশাল মিডিয়ায় এতটা ভাইরাল হতো না।