ট্রফি জয়ী পদ্মপলাশ নয়, ফের বাংলা সারেগামাপা’র মঞ্চে ডাক পেল অ্যালবার্ট কাবো

অ্যালবার্ট কাবো

2023 সালের বাংলা সারেগামাপা’য় অংশগ্রহণ করেছিলেন অ্যালবার্ট কাবো। এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চ থেকেই প্রথম পরিচিতি পান কাবো। বাংলার অগণিত মানুষের কাছে ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিজের সুরেলা কণ্ঠে দর্শকদের মনটা জয় করে নেয় তবে আশ্চর্যের বিষয় এই ছেলেটির মঞ্চে আসার আগে প্রথাগত গানের ট্রেনিংও ছিল না। তবে গলায় ছিল অসম্ভব সুর-তাল।

সারেগামাপা’য় অংশগ্রহণের আগে ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবেই কাজ করতেন কাবো। সারেগামাপা’র মঞ্চে পা রাখার পর তার জীবনটা বদলে যায়। প্রচুর ফ্যান ফলোয়ার্স অর্জন করেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিজয়ী ট্রফিটা কাবোর মাথায় ওঠেনি বরং সেই সিজেনে পদ্মপলাশ ছিনিয়ে নিয়েছিল ট্রফি। যদিও সেই সিজনের বিজেতা নিয়ে মতেই খুশি ছিলেন না দর্শকেরা। কাবোকে জয়ী না করায় চ্যানেল থেকে বিচারকরা নেটিজেনদের রোষের মুখে পরেছিলেন।

তবে বাংলা কদর না করতে পারলে খাঁটি রত্ন চিনেছিলেন জাতীয় স্তরের মানুষেরা। ২০২৪ সালে হিন্দি সারেগামাপা’য় জয়ী কাবো। তবে খ্যাতি পেতেই সেই বাংলার মঞ্চেই ডাক পেলেন কাবো।

বিজেতা পদ্মপলাশ নয়, বরং এই সিজেনে বাংলার সারেগামাপাতে ফের ফিরলেন অ্যালবার্ট কাবো। তাকে মঞ্চে দেখায় বেজায় খুশি সঞ্চালক আবির চট্টোপাধ্যায়। একজন স্পেশাল অতিথি হিসাবে আবার বাংলার সেই মঞ্চে পা রাখলেন গায়ক। তাকে দেখেই শান্তনু মৈত্র বলে ওঠেন, ‘আমি তোকে দেখতে চিনতে পারিনি’।

এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাবো জানান, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। যখনই এখানে আসি, মনে হয় যেন নিজের বাড়িতেই ফিরে এসেছি। আজ আমি যা, তা আপনাদের ভালোবাসা আর আশীর্বাদের কারণেই। এখানে আমার মেন্টররা আছেন, রথিজিৎ স্যার আছেন। রথিজিৎ স্যার যেভাবে আমাকে গাইড করেছেন, আমি যখনই নতুন গান গাই, সেখানে অনুভব করার প্রয়োজন পড়ে, আমি আপনার এক্সপ্রেশন ভাবি আর গাই।’

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ৮ মাসের ছোট কন্যাকে হারিয়েছিলেন। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদে ফের ২০২৪ সালে কাবো দ্বিতীয় কন্যা সন্তান ঘরে আসে। ঈশ্বর যেন ছোট এভিলিনকেই আবার নতুন রুপে ফিরিয়ে দিয়েছেন।