“যে কেউ ইচ্ছে করলেই স্তোত্রপাঠ করতে পারে না…”, উষা উত্থুপের ‘রকস্তোস্ত্র’ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অজয় চক্রবর্তীর

উষা উত্থুপ

দেবীপক্ষের সূচনায় মা দুর্গাকে রকসঙ্গীতের মাধ্যমে আবাহন জানালেন উষা উত্থুপ, অজয় চক্রবর্তী ও তন্ময় বসু। সাধারণত মা দুর্গা’র আবাহন মানেই সকলের কাছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’। তবে এবার পুরনো ছক ভেঙে আধুনিক ‘রকস্তোস্ত্র’ গানে হবে মায়ের আবাহন।

গিটার, তবলা, ড্রাম-সহযোগে রকসঙ্গীত গেয়েছেন উষা আর রকসঙ্গীতের মোড়কে স্তোত্রপাঠ করেছেন অজয় চক্রবর্তী। এই ‘রকস্তোস্ত্র’ প্রসঙ্গে উষা উত্থুপ জানান, স্তোত্রকে বিকৃত করে কিছু করা হয়নি। সংস্কৃত উচ্চারণ সঠিক রেখেই সবটা করা হয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ভারতীয় আধ্যাত্মিকতা যত বেশি পৌঁছে দেওয়া যায় ততই ভাল, এমনটাই মনে করেন সঙ্গীতশিল্পী।

তবে এই ঘটনার উলটপুরাণ কি কখনও দেখা যাবে, যেখানে রকসঙ্গীত গাইবেন অজয় চক্রবর্তী উল্টোদিকে স্তোত্রপাঠ করবেন উষা উত্থুপ? উত্তরে আনন্দবাজার ডট কম-কে অজয় চক্রবর্তী বলেন,

“উষা উত্থুপ স্তোত্রপাঠ করবেন কেন? তিনি স্তোত্রপাঠ করতে পারেন না। এটা তো শিখতে হয়! যে কেউ ইচ্ছে করলেই স্তোত্রপাঠ করতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি এলে আমিই তো স্তোত্রপাঠ করি। আর কে করেন? আমার ছাত্রছাত্রীদের শিখিয়েছি। এর জন্য ভারতীয় আধ্যাত্মবোধ ও শ্রদ্ধাবোধ দরকার। তেমনই রকগান আমার ঘরানা নয়।”

অন্যদিকে উষা উত্থুপ জানান, “স্তোত্র গাইতে পারলেও খুব ভাল লাগত। মানুষ ভাবে, আমি রক গান ছাড়া আর কিছু জানি না। আমরা তো কুম্ভমেলাতেও শিবস্তোত্র গেয়েছিলাম। তাই আমাকে স্তোত্র গাইতে বললেও আমি খুব খুশি হব।”