‘জানি না কী চিকিৎসা করেছে! এক চিকিৎসকের ইগোর কারণেই ঐন্দ্রিলা ডিপ কোমায় চলে গেল’, বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা’র

শিখা শর্মা

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর ১৪ দিন পর মেয়েকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী করলেন চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। সামনে আনলেন এক বিস্ফোরক তথ্য।

সম্প্রতি জীবনবিমা কর্মচারী কমিটির পক্ষ থেকে ঐন্দ্রিলা শর্মার একটি স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শিখা দেবী। মেয়ের কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রীর মা। তিনি জানান, “দু’বার ক্যানসার থেকে ফিরে এসেছে ঐন্দ্রিলা, অনেক কষ্ট পেয়েছে কিন্তু কখনও চোখে জল দেখেনি ওর। খুবই কম কাঁদতে দেখেছি ওকে। সেদিন আমার পাশে শোওয়া ছিল মেয়েটা। হঠাৎ যে কী হল, হাত নড়ল না পা নড়ল না, ১০ মিনিটে কীরকম হয়ে গেল। আমরা চেষ্টা করেছি। জ্ঞানও ফিরেছিল কিন্তু তারপর কোমায় চলে গেল। জানি না কী চিকিৎসা করেছে! নার্সিং কেয়ার খুবই ভালো ছিল। আমরা প্লিজড ছিলাম কিন্তু পোস্ট অপারেটিভ ট্রিটমেন্ট নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল। ঐন্দ্রিলার জন্য আরও কিছু করা যেত, কিন্তু হয়নি”।

শিখা শর্মা অভিযোগ করে বলেন, “‘সেইসময় দুজন ডাক্তারের ইগোর সমস্যা চলছিল। আমরা তো চাইব মেয়েকে বাঁচাতে? যিনি অপারেশন করেছেন, সেই ডা. মল্লিক অমায়িক। উনি খুব কো-অপারেশন করেছেন। ডা. পিয়া ঘোষ করেননি, সেটা আমাদের মনের মধ্যে থেকে যাবে। এমআরআই করাটাই ওর পক্ষে ঠিক হয়নি। আমরা এই নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি। সবাই কো-অপারেট করেছেন কিন্তু একজন ইগোর কারণে সহযোগিতা করেননি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ঐন্দ্রিলাকে ডিপ কোমায় পৌঁছে দিলেন। ডা. পিয়া ঘোষ কতটুকু চিকিৎসক, কতটুকু মানবিক জানি না। কিন্তু ডা. পিয়া ঘোষ কোনও সহযোগিতা করেননি। অনেক ডাক্তার ওকে দেখেছেন কিন্তু সেই ট্রিটমেন্ট ফলো করা হয়নি। আমার মেয়ে ডাক্তার, অনেক অনুরোধ করেছে কিন্তু উনি শোনেননি। ঐন্দ্রিলা বাঁচতে পারত। ঐ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হত না। যদিও হত ও রিভার্স করত। ওর হার্ট-লাং-কিডনি স্ট্রং ছিল। আমি তো বলবই, সবাই আসছে সাজেশন দিচ্ছেন এটা ওঁর ইগোতে লাগল। একবারও ভাবল না, আমার মেয়েটাকে বাঁচানো দরকার। একটা ২৪ বছরের মেয়ের ক্ষেত্রে এটা করা উচিত হয়নি। এই দুঃখ নিয়েই আমরা বাঁচব”।

Source: zeenews . india . com

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here