টলিপাড়ার পরিচিত মুখ অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী ও ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাদের দুইজনকে দেখলে বোঝা যায় প্রকৃত প্রেম আসলে কি? কঠিন পরিস্থিতিতে ভালোবাসাকে কীভাবে আগলে রাখতে হয় তাঁর প্রকৃত উদাহরন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা।
দু’বার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ঐন্দ্রিলা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছিল। ঐন্দ্রিলাকে ভরসা জুগিয়ে তার কঠিন পরিস্থিতিতে পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। এইরকম পরিস্থিতিতে অনেক প্রেমিক হয়তো সরে যেতেন কিন্তু সব্যসাচী যত্নে আগলে রেখেছিল তার ভালোবাসাকে। এঁকেই হয়তো বলে আদর্শ প্রেমিক।
পুজোর চারদিন আগেই কেমো চলেছিল ঐন্দ্রিলার। ঐন্দ্রিলার ইচ্ছে ছিল ঠাকুর দেখতে যাওয়ার কিন্তু শারীরিক অবস্থার কথা ভেবেই চিন্তিত ছিলেন সব্যসাচী। তবে প্রেমিকার আবদার ফেরাতে পারেননি। ঐন্দ্রিলার সেই ইচ্ছেও পূরণ করলেন সব্যসাচী।
ঠাকুর দেখতে গিয়ে দেবী দুর্গার সামনে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সব্যসাচী লেখেন, “বায়না করেছিল যে পুজোর ছুটিতে আমি বাড়ি যাওয়ার আগে একটা ঠাকুর দেখাতেই হবে। ঐন্দ্রিলার শরীর একটু ভালো থাকাতে, ভয়ে ভয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম দক্ষিণ কলকাতার দুই নামকরা পূজা মণ্ডপে। অজস্র মানুষের মিছিল, ব্যারিকেড আর ‘নো পার্কিং’ এর স্রোতে ঘেমেনেয়ে হতাশ হয়ে বললো “ধুর, বাড়ি নিয়ে চলো, ঠাকুরকেই তো দেখতে পাচ্ছি না”।
অভিনেতা আরও লেখেন, “ফেরার পথে এক অচেনা পাড়ার মোড়ে এই ক্ষুদ্র নামহীন প্যান্ডেলটি দেখে একেবারে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মধ্যরাতে, মানুষ তো দূরের কথা, কাক পক্ষীও নেই। তবে এই বিগ্রহের কোনো থিম নেই, চাকচিক্য নেই, আড়ম্বর নেই। বড়ই সাদামাটা, বড়ই আটপৌরে, ঠিক যেন মায়ের মতন”।