নতুন বাড়িতে প্রয়াত মায়ের স্বপ্নপূরণ করলেন অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়

তন্বী লাহা রায়

খলনায়িকা হিসেবে অভিনেত্রী তন্বী লাহা রায়ের পরিচয় দর্শকদের কাছে নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মিঠাই-এর তোর্সা হোক বা চিরদিনই তুমি যে আমার ধারাবাহিকের মীরা, নায়ক-নায়িকাকে বিপদে ফেলতে একেবারে পারদর্শী অভিনেত্রী।

নেটপাড়ায় আচমকাই নজরে আসে সাদা লাল পার শাড়ি পড়ে, হাতে শ্যামা কালীর মুর্তি নিয়ে গাড়ি থেকে নামছেন তন্বী। যা দেখে নেটিজেনদের মনে কৌতূহল একেবারে তুঙ্গে।

এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী নিজের খোলসা করে লেখেন, ‘শ্য়ামবাজারে বাড়ি। অনেক পুরনো। আমার ঠাকুমার বাবাড় বাড়ি। তবে আমার ঠাকুরদা সেই বাড়িতে থাতেন ভাড়া দিয়ে। আমার দাদু নিজের সম্মানরক্ষার্থে সেইসময় ১০০ টাকা ভাড়া দিতেন। যদিও , তবুও টাকার অভাবে প্রতি মাসে ভাড়া দেওয়া হত না। ৩ ছেলে-মেয়ে নিয়ে নীচের তলার একটা ছোট্ট ঘরে থাকতেন ঠাকুমা। আর উপরের দু তলায় থাকতেন ঠাকুমার আত্মীয়রা।’

‘এমনও দিন গিয়েছে. যখন আমার জ্যেঠু, বাবা আর পিসি ৩ জন মিলে ১টা ডিম ভাগাভাগি করে খেয়েছে। রোজ হয় মুড়ি খেতেন, নয় পান্তা ভাত। ঠাকুরদা ছিলেন ছোট্ট ব্যবসায়ী, ঠাকুমা ভায়োলিন শেখাতেন। তবে পরিবারে খুশি ও আনন্দের কোনো অভাব ছিল না।’

‘সেইসময় নিজের হাতে মায়ের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মায়ের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হত নিত্যপুজো। শনিবার ভরে যেত দর্শনার্থীতে। বিতরণ হত মিষ্টি।’

‘এরপর বাবা নিজের পুরনো বাড়ি ভেঙে, তা নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনেক ঝড়, জল, অনেক বড় বড় সমস্যাও তাঁকে টলাতে পারনি। ৪ বছরের পরিশ্রমের পর, আজকের বাড়ি। আর এই বাড়ি ভাঙার সময় তারা মা ছিলেন তাঁর এক ভক্তের বাড়িতে।’

‘শেষ ২ মাস ছিলেন ভাইজাগে আমার ভাইয়ের বাড়িতে। একাধিক বাধার পর, অবশেষে ফলহারিণী কালীপুজোর দিনই, তারা মা ফিরলেন আমাদেরবাড়িতে। আমার মা বলতেন, যেদিন তারা মা বাড়ি ফিরবেন, সেদিন আমরা সবাই লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে সাজব। আমার মাথায় ছিল সেই কথা।’