টেলি পর্দার ঝা ঝকঝকে জীবন দেখতে যতটা ভালো লাগে বাস্তবে অতটাও কি পারফেক্ট? অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জীবনে উত্থান-পত্তন লেগেই থাকে। কিন্তু দিনের শেষে তাদের স্ক্রিনে সামনে এসে হাসতে হয়, মানুষকে বিনোদন দিয়ে যেতে হয়। এরজন্যই হয়তো বলা হয় শিল্পী হওয়া মুখের কথা নয়।
কিছুদিন আগে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অভিনেত্রী তনুকা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে। কিন্তু সেই দুঃখ ভুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয় তাকে। কিছুদিন আগে গাঁটছড়া সিরিয়ালের সেটে মেকাপ রুমে লাঞ্চ ব্রেকে আচমকাই খবর আসে স্বামীর মৃত্যুর। সেই সময় ছুটে চলে যান ঠিকিই কিন্তু পরিস্থিতি সামলে আবার তাকে কাজে ফিরতে হয়।
স্বামীর মৃত্যুর পর মাত্র একদিন ছুটি নিয়েছেন তনুকা চট্টোপাধ্যায়। পরের দিন কাজে ফেরেন। ক্যামেরার সামনে আবার এক মাথা সিঁদুর পরে হাসিমুখে শুটিং করতে হয়েছে। বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে স্বামীকে হারিয়েছেন কিন্তু প্রতি মুহূর্ত তার কথা মনে পড়ে অভিনেত্রীর।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, স্বামীর চলে যাওয়া তার জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি। ৩২ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়ল। এখন আর লাঞ্চটাইমে ফোন করে তাকে কেউ জিজ্ঞেস করার নেই তিনি খেয়েছেন কিনা”? সেই শূন্যস্থান নিয়ে জীবনে চলতে হবে। কারণ জীবন তো থেমে থাকবে না।