অভিনয় নয়, স্বপ্ন ছিল অন্য পেশা! বোম্বে থেকে কলকাতায় ফিরে অডিশন দিয়ে আজ বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার

স্বীকৃতি মজুমদার

দিদি নম্বর ১, জনপ্রিয় এই রিয়্যালিটি শোয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকা, দিদির সাথে আড্ডা দিতে  কার না ভালো লাগে। এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোয়ে উপস্থিত ছিলেন টেলিপর্দার বেশকিছু পরিচিত তারকারা। তাদের মধ্যে ছিলেন ‘আলোর কোলে’র আলো ওরফে স্বীকৃতি মজুমদার, মিলি ধারাবাহিকের খেয়ালী মণ্ডল।

এদিন দিদি নম্বর ১ এর মঞ্চে ফাঁস করলেন নিজেদের সমস্ত সিক্রেট। অভিনেত্রী স্বীকৃতি মজুমদার ছোটপর্দার অতি পরিচিত মুখ। ‘খেলাঘর’, ‘মেয়েবেলা’র পর আবারও জি বাংলায় ‘আলোর কোলে’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোটপর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী। তাও আবার ভূতের চরিত্রে।

এদিন দিদির প্রশ্ন, অভিনয় দুনিয়ায় কতদিন হল স্বীকৃতি? উত্তরে অভিনেত্রী জানান, ‘প্রায় ৩ বছর। ইঞ্জিনিয়ারিং করছিলাম, সেখান থেকে প্লেসমেন্টে চাকরি পেয়ে বোম্বে চলে যাই। তারই মাঝে মা জোর করে পাঠিয়েছিলেন একটা বিউটি কনটেস্টে, সেখানে সেকেন্ড হই। তারপরই চ্যানেল থেকে ফোন করে অডিশনে ডাকে, সিলেক্টও হয়ে যাই।’

এরমাঝে রচনা বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে অভিনয়ে! তার উত্তরে স্বীকৃতি বলেন, আমার বাবা-মা একটু অন্যরকম মানসিকতার। তারা প্রথম থেকেই বলতেন, তুই নাচ করতে ভালবাসিস, অভিনয়টাও পারবি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যাবি কেন, জয়েন্টই বা কেন দিবি। তবে অভিনেত্রীর কথায় নিজের ইচ্ছাতেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন তিনি।

স্বীকৃতির কথা শুনে খানিকটা অবাক হয়েই রচনা বলেন, ভাবাই যায় না, এত ফ্রেন্ডলি বাবা-মা খুব কমই আছেন। এখানেই শেষ নয়, স্বীকৃতির সিক্রেট ফাঁস করতে দিদির প্রশ্ন, ছুটি পেলে কী করেন স্বীকৃতি? অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব, ‘প্রচন্ড ল্যাদখোর একটা মানুষ আমি। সময় পেলেই ঘুমোতে খুব ভালোবাসি, আর টিভি দেখতে ভালোবাসি।’