সুদীপার পরিবারে শোকের ছায়া! নিখোঁজ বাড়ির সদস্য, কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিনেত্রী

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়

আচমকাই পরিবারের সদস্যের নিখোঁজের খবর। সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। চোখে জল, কণ্ঠে ক্ষোভ নিয়েই সরাসরি লাইভে এসে তা নিজেই জানালেন সুদীপা।

শনিবার রাতে সুদীপার পোস্ট করা ভিডিয়োতে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায়, তাঁর বাড়ির আদরের একটি পোষ্যকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আচমকাই উধাও হয়ে গেছে সে।

তবে বাড়ি থেকে সে উধাও হয়নি। অভিনেত্রীর ভাইজি আদরের পোষ্যকে কুঁদঘাটের এক পশুদের ক্রেসে রেখে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন, আদরের পোষ্যটি (গজু) নিখোঁজ!

সুদীপার কথায়, “ফিরে এসে আমার ভাইঝি বিড়ালের খোঁজ করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। আমাদের খুবই আদরের পোষ্য, আমি আদর করে ওকে ‘গজুবাবু’ বলতাম। অনেক ভরসা করে ওকে রেখে গিয়েছিলাম ওই কেন্দ্রে।”

অভিনেত্রীর অভিযোগ, পশু দেখভাল কেন্দ্রের এক কর্মীই এই ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, সেই কর্মী নাকি ভুলবশত বিড়ালটিকে অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছেন। যদিও একথা একেবারেই মানতে নারাজ সুদীপা। তার মতে, এই ভুল আসলে গাফিলতি নয়, এর পিছনে থাকতে পারে আরও ভয়াবহ কোন কারণ। যাঁকে বিড়ালটি দেওয়া হয়েছে, তাঁরও এখন পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে, এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ওই পশু দেখভাল কেন্দ্রে আগেও নাকি প্রাণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেশীদের দাবি, “আমরা আগেও সন্দেহ করেছিলাম, এখানে পশুদের মেরে ফেলা হয়। কিন্তু কেউ মুখ খোলেনি।”

গোটা ব্যাপারটি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ওই ক্রেস এবং ক্রেস মালিককে সোশ্যাল মিডিয়ায় সনাক্ত করিয়েছেন অভিনেত্রী। সুদীপা স্পষ্ট জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না ‘গজুবাবু’র খোঁজ মিলবে বা সত্য সামনে আসবে, আমি চুপ থাকব না।” এই পুরো ঘটনায় অভিনেত্রীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু পশুপ্রেমীরা।