দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কলকাতা! অদম্য জেদ ও ইচ্ছাশক্তিকে হাতিয়ার করে আজ সফল অভিনেত্রী নোলক ওরফে সোমু সরকার

অভিনেত্রী সোমু সরকার

অভিনয় জগতে সাফল্য এমনি এমনি ধরা দেয় না, তার জন্য প্রত্যেক অভিনেতা এবং অভিনেত্রীকে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয় এবং কঠোর পরিশ্রম করেই সেই জায়গাটা গড়ে নিতে হয়।। নিজের ভালোবাসার জায়গা ছেড়ে অচেনা একটি শহরে এসে তারকাদের লড়াইয়ের কাহিনী প্রায়ই লাইমলাইটে আসে। তাদের মধ্যেই একজন হলেন অভিনেত্রী সোমু সরকার।

আশাকরি, কার কথা এখানে বলা হচ্ছে বুঝতেই পেরেছেন। ‘গোধূলি আলাপ’ ধারাবাহিকের নায়িকা নোলক আজ দর্শকের ঘরের মেয়ে। তবে তার এই সাফল্যের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে তাকে। এত সহজেই কিন্তু পর্দার নোলক হয়ে ওঠেনি সোমু।

খুব সম্ভবত সোমু সরকারের বয়স ২৫ এর কোঠায়। ইন্ডাস্ট্রিতে ‘গডফাদার’ না থাকা সত্ত্বেও এত কম বয়সে সাফল্য পাওয়া মুখের কথা নয়। এই অভিনেত্রী আজকালকার অভিনেত্রীদের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন একটিভ নয়। শুধুমাত্র নিজের অভিনয় দক্ষতায় দর্শকের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।

শুধুমাত্র একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার লক্ষ্যই দক্ষিণ দিনাজপুরে নিজের গ্রাম ছেড়ে পাকাপাকি কলকাতায় চলে আসেন।  বংশীহারী ব্লকের মহাবারী পঞ্চায়েতের খিদিরপুর গ্রামের সোমু। বাবা শৈলেন্দ্রনাথ সরকার জম্মুতে বিএসএফে কর্মরত  এবং মা মীরা সরকার একজন গৃহবধূ।

বংশীহারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করে মালদা গৌড় কলেজে মাস কমিউনিকেশন নিয়ে স্নাতক পাশ করেছেন। শোনা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাস কমিউনিকেশন মাস্টারস পাশ করেছেন। (সূত্র – ইটিভি ভারত)

মালদায় সাংবাদিকতায় পড়াশুনো করার পাশাপাশি একটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেন। সেটা অভিনেত্রী নিজের লেখা এবং নির্দেশনা ছিল। নাম  ‘দেয়ার লাভস স্টোরি’। এই শর্ট ফিল্ম ভালো ভিউজ পেয়েছিল।

আকাশ ৮ চ্যানেলে ‘ইকিরমিকির’ ধারাবাহিকে দ্বিতীয় প্রধান চরিত্রে তার প্রথম হাতেখড়ি। তারপরই ডাক আসে স্টার জলসার মতো চ্যানেলে। তাও আবার রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন। দ্বিতীয় প্রধান চরিত্র থেকে একলাফে মুখ্য চরিত্র তাও আবার কৌশিক সেনের মতো অভিনেতার বিপরীতে অভিনয়। প্রথম দিকে ভয় পেলেও নিজের অদম্য জেদ ও ইচ্ছাশক্তিকে হাতিয়ার করেই পর্দার নোলক হয়ে উঠে নিজেকে প্রমাণ করে দেন।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here