ইন্ডাস্ট্রির গ্ল্যামার এবং অভিনয় জগতের পিছনে চাপা পড়ে যায় অনেক অজানা তথ্য। অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে যান অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সেই কারণ হয়তো অজানা থেকে যায় আমাদের। ঠিক তেমন একজন শিল্পী হলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ বাহামণি ওরফে অভিনেত্রী রনিতা দাস।
একসময় ‘ইষ্টি কুটুম’ সিরিয়ালে তার অভিনয় দেখে হতবাক হয়েছিলেন ছোটপর্দার দর্শক। প্রত্যন্ত এক গ্রাম পলাশবণির ‘বাহা’র চরিত্র অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন টিভির পর্দায়। অগণিত মানুষের মনে জায়গা দখল করে নেয় পর্দার বাহা ওরফে অভিনেত্রী রনিতা দাস।
‘ইষ্টি কুটুম’ সিরিয়ালের আগেই ‘ধন্যি মেয়ে’ সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন রনিতা। কিন্তু ‘ইষ্টি কুটুম’ সিরিয়ালে মাঝপথেই সরে যান অভিনেত্রী। তার জায়গায় আসে অন্য মুখ। তবে দর্শকের মেনে নিতে পারেনি। কারণ বাহামণি হিসাবে তারা রনিতাকেই পারফেক্ট মনে করেছিলেন।
বর্তমানে সিনেমায় চুটিয়ে কাজ করলেও ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিকের পর রনিতা ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রায় হারিয়েই গিয়েছিলেন। কেন সরে গিয়েছিলেন রনিতা? আজও অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে।
ইন্ডাস্ট্রিতে কামব্যাকের পর অভিনেত্রী তার গায়েব হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। অভিনেত্রী রনিতা দাস জানিয়েছিলেন “অনেকেই বলেছিলেন আমি জেদের জন্য ইষ্টিকুটুম ধারাবাহিকটি ছেড়ে দিই। কিন্তু এটা সত্যি নয়। শারীরিক কারণে ধারাবাহিকটি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। ওভারিতে সমস্যা এবং শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আমি অভিনয় চালিয়ে যেতে পারি নি। ধারাবাহিকটি ছাড়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে কেস করা হয়েছিল পরে অবশ্য তা মিটে যায়”।
রনিতা আরও জানিয়েছিলেন, সৌপ্তিক তখন ‘জল নুপুর’ ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র অভিনয় করতেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সৌপ্তিকও ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তাই সবার ধারণা আমরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু আমাদের এই সিধান্তের কারণ আলাদা ছিল সেটা ইন্ডাস্ট্রির কেউ বোঝেনি। মেরুদণ্ডের ব্যথায় দাঁড়াতে পারতাম না, ওজন খুব বেশি বেড়ে যাচ্ছিল, টানা রিকশায় বসে শর্ট দিয়েছিলাম। সিরিয়াল না ছাড়লে হয়তো মরেই যেতাম”।
“ইষ্টি কুটুম” এর পর অভিনয় জগত থেকে হারিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে তুলতেই অভিনেত্রী সাফ জানান, “দুজনে একসাথে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার কারণে ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমাকে আর সৌপ্তিককে ব্যান করা হয়। যার কারণে সৌপ্তিককে তিনটি সিনেমা ছাড়তে হয়েছিল। এবং আমি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম।”