অভিনেত্রী মানালি দে বাংলা চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় মুখ। একাধিক সিরিয়াল, সিনেমায় কাজ করছেন। সদ্য শেষ হয়েছে তার অভিনীত ধারাবাহিক ‘দুগ্গামণি ও বাঘ মামা’। কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যালেন্স করে চুটিয়ে সংসার করছেন মানালি।
অভিমুন্য’র সাথে সুখে দাম্পত্য কাটাচ্ছেন। অনেক ছোট বয়সে বিয়ে করেন মানালি। গায়ক সপ্তকের ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু টেকে না সেই সম্পর্ক। ৪ বছরের মাথায় তাদের আইনি বিচ্ছেদ হয়। প্রথম বিয়ে ভাঙার চার বছরের মাথায় মানালি র জীবনে আসেন পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিয়েতে ভীষণ সুখী মানালি।
তবে কেন প্রাক্তন স্বামীর সাথে ডিভোর্স হল মানালি’র? বহুবার এই প্রশ্ন সামনে আসলে নিজের ব্যক্তিগত জীবন আলাদাই রাখতে চেয়েছেন তিনি। তবে প্রথমবার প্রথম বিয়ে ভাঙার আসল কারণ জানালেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সপ্তকের সাথে ডিভোর্স নিয়ে খোলসা করেন। নিবেদিতা সপ্তকের সাথে ছাড়াছাড়ির কারণ জানতে চাইলে মানালি বলেন, ‘আমি অত গভীরে ঢুকছি না। একসময় তো ভালো সম্পর্ক ছিল। কেন ওই বাড়ি ছেড়ে এলাম যদি জানতে চাও, তাহলে বলব, আমি বাড়ির একমাত্র মেয়ে। খুব আদরে বড়, বাবা-মা-দাদুর কাছে। আমাদের ছোটবেলা তো ফেয়ারি টেল পড়ে কাটে। ভাবি বিয়ে মানেই মজা। এরপর বিয়ের পর একটা রিয়ালিটি চেক আসে। সমস্যা বোধহয় আমারই ছিল। কারণ আমি বাড়ির মেয়ে হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। এই মুহূর্তে শ্বশুরবাড়িতে (বর্তমান) আমি বাড়ির মেয়ে হয়েই আছি। কিন্তু আগে তাঁরা বোধহয় বাড়ির বউ করতে চেয়েছিল। সেই জায়গা থেকে আমিই হয়তো মানিয়ে নিতে পারিনি।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আজকে আমি আমার বাড়িতে যেমন থাকি, অভিমন্যুর এখানেও তাই। ওর বাবা-মার সঙ্গেও আমার নিজের বাবা-মার মতো সম্পর্ক। আমি আমার বাবা-মার জন্য যতটা করি, শ্বশুর-শাশুড়ির জন্যও ততটা করারই চেষ্ট করি। আর এটা হয়েছে, তাঁরা আমাকে মেয়ের জায়গাটা দিয়েছেন বলেই। একটা দিক থেকে তো এই জায়গাটা তৈরি হয় না। একটা মেয়ে বিয়ের পর, একটা মানুষকে চিনে শ্বশুরবাড়িতে যায়। তাই তাঁকে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়। আসলে একটা হয় বাড়ি, আরেকটা থাকার জায়গা। আমার কখনোই ওদের বাড়িটাকে বাড়ি মনে হয়নি। আমার কখনোই নিজেকে ওদের বাড়ির মেয়ে মনে হয়নি। তাই হয়তো থাকতে পারিনি।’
অভিনেত্রী এই সাক্ষাৎকারে জানান প্রাক্তন স্বামীর সাথে তার আর কোন সম্পর্ক নেই কারণ অভিনেত্রী মতে, ‘খারাপ সম্পর্ক হয়েছে বলেই তো একসঙ্গে থাকিনি। বন্ধুত্বের কোনও সিন নেই।’