“আমার মেয়েটা আর আগের মতো নেই…বাবার সঙ্গে হারিয়ে গেল”, জীবনের নিঃসঙ্গতায় চোখে জল অভিনেত্রীর

সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়

ইন্ডাস্ট্রিতে চেনা মুখ সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। ক্যামেরার আড়ালে সবসময় হাসিখুশি থাকা অভিনেত্রী আচমকাই যেন আড়ালে চলে গিয়েছিল। একের পর এক আপনজন হারানোর যন্ত্রণায় জীবনের সব রঙই ফিকে গিয়েছে অভিনেত্রীর কাছে।

২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, স্বামী ফিরোজকে হারানোই অভিনেত্রীর জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে স্বামীর অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারেননি সুভদ্রা। স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারকে বা তথাকথিত আত্মীয়দের কাউকেই তেমন পাশে পাননি একথাও জানান অভিনেত্রী।

বুক ভরা আক্ষেপ নিয়ে সুভদ্রা জানিয়েছিলেন, “শুধু যে স্বামী বা দুই বাবার মৃ’ত্যু হয়েছিল তা নয়, আরও অনেক মানুষের মৃ’ত্যু দেখেছি। হয়তো তারা এখনও জীবিত, কিন্তু আমার কাছে তার আর নেই। আমার স্বামীর ভাইকে নিজের সন্তানের মতো করে বড় করেছিলাম। স্বামীর থেকে দশ বছরের ছোট সে, একবারও খোঁজ নিতে এলো না!”

এখন অভিনেত্রীর জীবনে তার একমাত্র মেয়েই সম্বল। মেয়ের প্রসঙ্গে সুভদ্রা জানান, “আমার এই ছোট্ট মেয়েটা ভীষণ পরিণত হয়ে গেছে এই কয়েকটা দিনেই। এখন দেখলে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার মতো লাগবে, মেয়েটার কিশোরীটাই তো বাবার সঙ্গে হারিয়ে গেল! আমি যখন ভেঙে পড়েছিলেন, একটা কথা মেয়েটা রোজ বলতো— আমার ডাকে বাবা তো উঠল না। চোখের সামনে বাবাকে মর’তে দেখেছি, তোমাকে ম’রতে দেব না। ছেলেটা তো বিয়ের পরেই বউ নিয়ে বিদেশ থাকে, সব সময় বিরক্ত করা যায় না। তবে, মেয়েকে ঘিরেই আমার জীবন এখন। মেয়েই আমার অভিভাবক।”

Previous articleমনুষ্যত্ব নিয়ে উক্তি । স্ট্যাটাস । বাণী সমূহ
Sudeshna Jana
হাই, আমি সুদেষ্ণা জানা। আমার প্যাশন লেখালেখি করা। আমি একজন লেখিকা। মানুষকে এন্টারটেইনমেন্ট করতে পছন্দ করি। তাই বিনোদন সংক্রান্ত বিষয় লেখালেখি করতে বেশি পছন্দ। দর্শকদের এন্টারটেইনমেন্ট দেওয়ার জন্য বিশ্বের সমস্ত ধরণের বিনোদন নিউজ তাদের কাছে এগিয়ে দেওয়াই আমার কাজ। বিভিন্ন ধরণের বিনোদন পেতে আমাদের এই পেজে অনুসরণ করুন।