‘পরের দিন কি খাবো সেটা ভেবেই চোখে জল আসত, কষ্ট হলে লুকিয়ে কাঁদতাম’, স্ট্রাগল পেরিয়ে আজ বাংলা টেলিভিশনে সফল ‘তারা’ ওরফে অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথ

অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথ

বাংলা টেলি দুনিয়ার এক অতি পরিচিত মুখ অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথ। যাকে এই মুহূর্তে স্টার জলসার ‘মন ফাগুন’ ধারাবাহিকে পিহুর বোন ‘অনুষ্কা’ চরিত্রে অভিনয় করতে দেখছেন। দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় তাঁর চরিত্রটি। এর আগে তাকে খুব বেশি ধারাবাহিকে দেখা না গেলেও তাঁর অভিনয় মন জিতে নিয়েছেন সকলের।

২০১৭ সালে  স্টার জলসার ‘দেবিপক্ষ’ সিরিয়ালে হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করলেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘বকুল কথা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে। এই ধারবাহিকে বকুলের খুড়তুতো ননদ এশার চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপাকি জায়গা দখল করে নেন। তবে আজকের এই সাফল্যের পিছনে অভিনেত্রীর জীবনে রয়েছে কষ্টের কাহিনী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং অভিনেত্রী অমৃতা দেবনাথের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ছে ফ্যানদের মধ্যে। এই ভিডিওটি হল ‘দিদি নং ১’-এর মঞ্চে পুরনো একটি ভিডিও। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে নিজের কষ্টের কথা শেয়ার করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ‘মন ফাগুন’-এর এই অভিনেত্রী।

এদিন অমৃতা জানায়, ‘একটা সময় ছিল যখন তারা খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এমনকি পরের দিন কি খাবে সেটা ভেবেই তাঁর বাবা-মা চোখে জল আসত। মনে কষ্ট হলেও কখনো বাবা-মার সামনে কাঁদতেন না, বরং লুকিয়ে কাঁদতেন অভিনেত্রী। বাবা অতটাও ভালো চাকরি করতেন না যে অভিনেত্রী পড়াশুনোর খরচ চালাবে। তাঁর পড়াশুনো খরচ চালাতেন অভিনেত্রীর জ্যাঠামশাই”।

আলিপুরদুয়ারের মেয়ে অমৃতা দেবনাথ। ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন কলকাতায় এসে। কিন্তু কলেজে পড়াকালীন হঠাৎ ২০১৬ সালে বাবার চাকরি চলে যায়। সেই সময় খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে গেছে তাঁর পরিবার। তখন একমাত্র পরিবারে তিনিই উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। তারপর অডিশন দিতে শুরু করেন। ২০১৭ সালে প্রথম ধারাবাহিকে সুযোগ। এরপর একের পর এক কাজ পেতে থাকেন অভিনেত্রী।