‘পায়ে ক্ষত, রক্তে ভাসা জামা… চিকিৎসা না করেই হাসপাতালের বিল দুই লাখ আশি হাজার…’, শ্বাশুড়ি মায়ের চিকিৎসার গাফিলতি, হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী অলকানন্দা

অলকানন্দা গুহ

মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খুললে চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে নানা চিত্র আমাদের চোখের সামনে ধরা পড়ে। চিকিৎসার গাফিলতিতে কেউ নিজের সদ্যোজাতকে হারেচ্ছেন তো আবার কেউ অতাধিক বিল মেটাতে নাজেহাল। এবার কলকাতার রুবি হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্লগার অলকানন্দা গুহ।

অলকানন্দা নিজের ব্লগে প্রতিদিনের নিজে ডেলি লাইফস্টাইল তুলে ধরেন। তবে এবার ফেসবুক পেজে শেয়ার করা ভিডিও একটু অন্য ধরণের। কলকাতার নামী হাসপাতালের চিকিৎসার বিরুদ্ধে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে অভিনেত্রীর শাশুড়ি মায়ের সাথে।

কলকাতার রুবি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সব তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে চিকিৎসা ব্যবস্থার দিকে আঙুল তুললেন অভিনেত্রী। ভিডিওতে দেখা যায় তার শাশুড়ি মা হাসপাতাল থেকে ফিরছেন। অবস্থা করুণ, রক্তে ভেসে যাচ্ছে জামা, পায়ে ক্ষত।

ভিডিওতে অভিনেত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে এমন কিছু চিকিৎসক থাকেন, যারা নিজেদের লাভটা গুছিয়ে নেওয়ার জন্য সমস্ত কিছু করতে পারে। কিছুদিন আগেই শ্বাশুড়ি মা কলকাতার বিখ্যাত হাসপাতাল ‘রুবি’তে ভর্তি ছিলেন। ভর্তি হয়েছিলেন তেমন কোনও গুরুতর সমস্যা নিয়ে নয়। পায়ের তলায় সামান্য একটু কেটে গিয়ে সময়ের সঙ্গে সেই অংশটা ফুলতে শুরু করে এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হতে থাকে। যেহেতু রুবি হাসপাতাল বাড়ির কাছে এবং পরিবারের সবাই অনেক ভরসা করতেন বলে প্রথমে তাঁকে ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান ওনার রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকায় আইসিইউতে রাখতে হবে।”

পরের দিন শর্করা নিয়ন্ত্রণে এলে অভিনেত্রী চিকিৎসককে জানাতে গেলে চিকিৎসকের দাবি, “শ্বাশুড়ির হৃদযন্ত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যেকোনও মুহূর্তে পেসমেকার বা স্টেইন বসতে পারে আবার পরে। ফুসফুসে জল জমেছে, মৃত্যু হতে পারে।”

অলকানন্দা অভিযোগ আনেন তাদের প্রতিদিন রীতিমত ভয় দেখানো হয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে। কিন্তু রিপোর্টে তেমন কিছু ইঙ্গিত মেলেনি। রিপোর্টে তেমন কিছুই ধরা পড়ে নি। এদিকে চারদিন হাসপাতালে রেখে প্রায় ২ লক্ষ ষাট হাজারে বিল ধরানো হয়।

অভিনেত্রী জানায় তার শাশুড়ি মা যেই সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন সেই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। আসল সমস্যার চিকিৎসা না করে চিকিৎসক অন্য চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন। পায়ের সেই ক্ষততে কোনও ওষুধও দেওয়া হয়নি। রোগীর সাথে দেখা করতে দেওয়া হত না বলা হত রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সন্দেহ হওয়ায় তারা অন্য চিকিৎসকের সাহায্য নেন তিনি রিপোর্ট দেখে জানান ‘সব ঠিক আছে’। ভিডিওতে অভিনেত্রী এবং তার স্বামী চিকিৎসক ‘সমীক বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর নামে প্রশ্ন তোলেন এই অবস্থা যদি সাধারণ মানুষের সাথে হয় তারা কোথা থেকে এত টাকা দেবে?

ভিডিওতে অভিনেত্রীর শাশুড়ির অবস্থা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।

সুত্রঃ tollytales . com