লড়াই করেই শৈশব কেটেছে, খুব ছোট বয়্যসে বাবাকে হারিয়ে বৃদ্ধ মাকে নিয়েই সংসারের হাল ধরেছিলেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। টানাটানির সংসারে পেট চালানো দায় ছিল তাদের। একটা সময় বাড়ি ভাড়া দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল না তার। সকালে স্কুলে যেতেন এবং রাতে যেতেন কারখানায় কাজ করতেন।
এতকিছুর পরেও পেতে হয়েছে চোর অপবাদ। ক্লান্তিতে ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়লে মাস্টারমশাই চুলের মুঠি ধরে বলতেন, “চুরি করিস নাকি তুই, যে পড়ে-পড়ে ঘুমাচ্ছিস…”
বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় মাকে নিয়ে থক্তেন এক বস্তিতে। আর এই কঠিন সময়তেই অভিনেতার পাশে এসে দারিয়েছিলেন প্রেমিকা সোনালী চক্রবর্তী। রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী সোনালিই পাল্টে ফেলেন শঙ্করের জীবন।
সেই সময় অভিনয়ে ততখানিও জনপ্রিয়তা অর্জন করেননি সোনালি। তিনি তখন গানের দিদিমণি। ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদের গান শেখাতেন। গান শিখিয়ে যা উপার্জন করতেন, সবটাই গিয়ে তুলে দিতেন শঙ্করের হাতে।
সোনালি ধনী পরিবারের মেয়ে হওয়ায় শঙ্করের সঙ্গে তার সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নেননি সোনালির পরিবারের লোকজন। পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েই শঙ্করের হাত ধরেছিলেন সোনালি। এরপর দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগেছেন সোনালি। অবশেষে ২০২২ সালে সোনালিকে হারিয়ে আরও একবার একা হয়েছেন অভিনেতা।