শিশু নির্যাতন এমন একটি স্পর্শকাতক টপিককে টিভির পর্দায় তুলে ধরা অত সোজা নয়, কিন্তু স্টার জলসার ‘মেয়েবেলা’ সেটা করে দেখিয়েছে। গতকালকের এপিসোডে নারী শক্তির যে কতটা ভয়ংকর তা খুব নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা হল এই ধারাবাহিকে যা বাংলা ধারাবাহিকে সত্যিই বিরল।
নারী শক্তি ছাড়া এই জগতে অচল। নারীরা যেমন দশদিক সামলায়, আবার প্রয়োজন হলেই দুষ্টের দমনে মা দুর্গার রুপ নিতে পারে। এই কনসেপ্টটা’কে যে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়, তা মেয়েবেলা ধারাবাহিক না দেখলে বোঝাই যেত না।
ডঃ সুবোধ দাশগুপ্তের মতো লোকজন সমাজের কলঙ্ক। আর এই ধরণের মানুষকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তাই যেন যুব সমাজকে শেখানো হচ্ছে মেয়েবেলা ধারাবাহিকের মধ্যে।
শাশুড়ি মা মৌকে সহ্য করতে পারে না ঠিকিই কিন্তু সুবোধ দাশগুপ্ত যখন মৌয়ের সঙ্গে অসভ্যতা করল তখন একজন মা হিসাবে তার মেয়েকে রক্ষা করতে ছুটে এলেন বীথি। এই দৃশ্যটায় সন্তানকে দুষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে একজন মা কতটা সাহসী হতে পারে তা বীথি চরিত্রে মধ্যে ফুটে উঠেছিল।
নারীরা একজোট হলে শয়তানও হারতে বাধ্য, এই ধরণের শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু তুলে ধরায় ‘মেয়েবেলা’ ধারবাহিক ঘিরে প্রশংসার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সত্যিই কালকের পর্ব মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতন। তাই বাহবা না জানিয়েছে পারছেন না দর্শকেরা।
এক নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “নারী শক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে নারীকেন্দ্রিক ধারাবাহিক “মেয়েবেলা”র এক উজ্জ্বল পর্ব আজ দেখতে পেলাম৷যে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা নিয়ে এই নতুন ধরনের ধারাবাহিক শুরু হয়েছে,আগে কখনো দেখি নি এই ধরনের কোন ধারাবাহিক৷প্রত্যেকের অভিনয় স্বচ্ছন্দ,সুন্দর আর সংবেদনশীল৷আশা করবো আগামী দিনে এই ধারাবাহিক আরো সবার কাছে একটি মনোজ্ঞ ধারাবাহিক হিসাবে স্বীকৃতি পাবে৷”।