20 টি কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি, সেরা লাইন

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি

সৃষ্টিকর্তার সকল সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম একটি হল এই কৃষ্ণচূড়া ফুল, যার সৌন্দর্যে মানুষ তার প্রেমে পড়তে বাধ্য। কৃষ্ণচূড়া ফুল যখন ফোটে তখন প্রকৃতি যেন এক নতুন রূপে সাজে। লাল টকটকে এবং হলুদাভ কৃষ্ণচূড়া মনকে রাঙিয়ে তোলে। গ্রীষ্মমন্ডলীয় পরিবেশে ফোটা বাকি ফুল গাছ গুলির মধ্যে একটি হল কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। তবে শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এই গাছ সর্বদা চির সবুজ। সমগ্র ভারতবর্ষে এপ্রিল থেকে জুন মাস নাগাদ এই ফুল ফুটে থাকে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য তুলে ধরতে আজকের পোস্টে রইল সুন্দর কিছু কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি ।

সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও, উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতেও এই গাছ বিশেষ উপযুক্ত। তাই কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি গুলি ভালো লাগলে, প্রকৃতি প্রেমিক মানুষদের সাথে তা শেয়ার করে নিতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ পদ্ম ফুল নিয়ে উক্তি । Best Quotes About Lotus

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। তবে হংকং, ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ আরও অনেক দেশেই কৃষ্ণচূড়ার দেখা পাওয়া যায়। তবে বিভিন্ন দেশে এই ফুল ফোটার সময়কাল ভিন্ন সময়ে। এখানে রইল কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি –

কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে,
আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে। – কাজী নজরুল ইসলাম

চোখ ধাঁধানো টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের আকর্ষণীয় বর্ণবৈচিত্র্যে নতুন করে সেজেছে গ্রীষ্মের প্রকৃতি।

বসন্তের শেষে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা নিয়ে প্রকৃতিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলে কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য।

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি

আরও পড়ুনঃ 40 টি সেরা শিউলি ফুল নিয়ে উক্তি

রাস্তার দুই ধারে মনকাড়া কৃষ্ণচূড়ার গাছ, তারই ফাঁকে ফাঁকে কৃষ্ণচূড়া ফুল, দেখলেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।

কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটার মাঝেই প্রখর রোদে পোড়া প্রকৃতি যেন তার প্রাণ ফিরে পায়।

গ্রীষ্ম এলেই যেন প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে লাল টুকটুকে হয়ে হেঁসে ওঠে কৃষ্ণচূড়া।

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি

কৃষ্ণচূড়ার এই লালের সমারোহে মুহূর্তেই রঙিন হয়ে ওঠে প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়া যে শুধু লাল রঙেরই হয় তা নয়, পাশাপাশি কমলা ও হলুদ রঙেরও হয়।

পলাশ-শিমুল যদি হয় বসন্তের প্রতীক, কদম যদি হয় বর্ষার প্রতীক, তবে কৃষ্ণচূড়া হল গ্রীষ্মের প্রতীক।

তপ্ত রোদেও মায়াময়ী কৃষ্ণচূড়ার গাছের দিকে তাকালেই যেন চোখ থমকে যায়।

আরও পড়ুনঃ ফুল নিয়ে উক্তি

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে সুন্দর লাইন

কৃষ্ণচূড়ার লালিমা এতই সুন্দর যে চারদিকের পরিবেশ যেন তার সৌন্দর্য খুঁজে পায়।

সকালের রোদ ঝলমল আকাশে কৃষ্ণচূড়া যেন তার সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

প্রকৃতির রুক্ষ-শুষ্ক মৌসুমে মনের ক্লান্তি দূর করে আমাদের নব উদ্যমে জাগিয়ে তুলতে পারে এই কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ মাধুর্য।

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে সুন্দর লাইন

উষ্ণ আবহাওয়ায় মনকে শান্তির পরশ দিতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের কোন জুড়ি নেই।

কৃষ্ণচূড়ার চোখ ধাঁধানো অপরূপ মাধুর্য, যেন হার মানায় ঋতুরাজকেও।

আরও পড়ুনঃ  কদম ফুল নিয়ে উক্তি সুন্দর উক্তি

গ্রীষ্মের অতি পরিচিত ফুল কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া গাছ উচ্চতায় খুব বেশি না হলেও এর শাখা-প্রশাখা অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে।

ঋতুচক্রের আবর্তনে, বৈশাখের রৌদ্দুরের উত্তাপ মেখে কৃষ্ণচূড়া তার আকর্ষণীয় সৌন্দর্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে।

কৃষ্ণচূড়া নিয়ে সুন্দর লাইন

গ্রীষ্মের ঘাম ঝরা দুপুরে কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়া যেন প্রশান্তি এনে দেয় ক্লান্ত পথিকের মনে।

গাছে গাছে লালে লাল হয়ে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া, তবে রক্তিম লালেও প্রকৃতিকে যেন অপরূপ দেখায়।

নীল আকাশের ক্যানভাসে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়ার অপরূপ লালিমার দৃশ্য বেঁচে থাকুক যুগের পর যুগ।

আরও পড়ুনঃ  50 টি সেরা বসন্তের উক্তি  

আশাকরি, কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি গুলি সকলের ভালো লাগবে। এছাড়াও কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি দ্বারা এই ফুল সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন ও উত্তরঃ 

Q. কৃষ্ণচূড়া ফুল কখন ফোটে?

A. সমগ্র ভারতবর্ষে এপ্রিল থেকে জুন মাস নাগাদ এই ফুল ফুটে থাকে।

Q. কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম কি?

A. কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া।

Q. কৃষ্ণচূড়া গাছ জন্মানোর জন্য কেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন?

A. কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

Q. কৃষ্ণচূড়া গাছের অন্য আরেকটি নাম কি?

A. কৃষ্ণচূড়া গাছের আরেক নাম গুলমোহর।

Q. কৃষ্ণচূড়া ফুল কি কি রঙের হয়?

A. কৃষ্ণচূড়া ফুল বিভিন্ন রংয়ের হয়। যেমন লাল, কমলা, সাদা, হলুদ,বেগুনী। কৃষ্ণচূড়া ফুল গুলো চারটি বড় পাপড়ি যুক্ত হয়।

Q. কৃষ্ণচূড়া গাছের উপকারিতা কি কি?

A. ১. জ্বর সারাতে কৃষ্ণচূড়া পাতার রস মধুসহ প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর ভালো হয়।

২. শ্লেষ্মাজনিত সমস্যায় কৃষ্ণচূড়া মূলের ছাল গুড়ো করে পানের সাথে চিবিয়ে খেলে উপশম পাওয়া যায়।

৩. খুশকি দূর করতে কৃষ্ণচূড়ার ফুল পিষে মাথায় লাগালে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

৪. শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের রস প্রতিদিন দুবার করে খেলেই উপকার মেলে।

Q. সুন্দর একটি কৃষ্ণচূড়া নিয়ে উক্তি কি হতে পারে?

A. কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে,
আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে। – কাজী নজরুল ইসলাম