ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ১ বছর! ‘সবই আছে কাকিমা, শুধু আমার মিষ্টিটা নেই’, ঐন্দ্রিলার মাকে জানালেন অভিনেতা সব্যসাচী

অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা

আজ ২০ নভেম্বর! ঠিক এক বছর আগেই এই দিনে একটি প্রাণবন্ত মেয়ে নিজের জীবনের সঙ্গে হেরে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি হলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। যার মৃত্যু গোটা জেনারেশনকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। দু’বার ক্যান্সার জয়ী মেয়েটি ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। চোখে জল ঐন্দ্রিলার মা শিখা দেবীর। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কি সেটা শুধু মায়েরাই বোঝেন। মায়ের পাশাপাশি আরও একজনের মন ভালো নেই। তিনি হলেন প্রায়ত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ সব্যসাচী চৌধুরী। যাকে এই মুহূর্তে ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে দেখতে পারছেন।

ঐন্দ্রিলা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পাশে ছিলেন সব্যসাচী। গোটা জেনারেশন দেখছে এক প্রেমিকার জীবন যুদ্ধে প্রেমিকের লড়াই। বর্তমান জেনারেশনের কাছে  সব্যসাচী ‘আদর্শ’ প্রেমিক। আজকের দিনে কেমন আছেন ঐন্দ্রিলার সব্য? জানালেন অভিনেত্রী মা শিখা দেবী।

অভিনেত্রীর মা শিখা শর্মা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, “আগের বছর ৩১ অক্টোবর সব্যসাচীর জন্মদিনও তো হইহই করে পালন করেছিল মিষ্টি। সব্যসাচী বাইরের খাবার খেতে ভালো বাসত বলে ঐন্দ্রিলা নাকি বকাবকি করত। সব্য বলত বিয়ের পর আর খাব না। ২০২৩-এর ১২ মার্চ ওদের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। সবই এখন গল্প কথা হয়ে গেলো…।সব্যসাচী নভেম্বরে বিয়ে করতে চেয়েছিল। ওর বাড়ির লোকও তাই চেয়ছিল কিন্তু ঐন্দ্রিলা বলেছিল  না মা আমার চুলটা দু’মাসে আরও একটু বড় হয়ে যাবে, সুন্দর হয়ে তারপর সাজব। তখনই বিয়ে হবে। সুন্দর হয়ে তারপর সাজব।” কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শিখা দেবী।

তিনি আরও জানান, রাতে সব্যর সঙ্গে কথা হয়েছে, ও হোয়াটসআপে লিখেছে, সবই আছে কাকিমা, শুধু আমার মিষ্টিটা নেই…। আমি কলকাতায় গেলেই সব্য আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। গত বছর ওরও এখন যুদ্ধ চলছে। সব্যর সঙ্গে নিয়মিত কথা হয়।’ ‘আমার মনে হয় না সব্যসাচী ঐন্দ্রিলা ছাড়া আর কখনও কাউকে ভালোবাসতে পারবে, ওর কথায় কখনও আমার সেকথা মনে হয়নি…।’

বর্তমানে কলকাতায় থাকেন না অভিনেত্রীর পরিবার। বহরমপুরে রয়েছেন তারা। মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে, নার্সিং স্কুলে বৃক্ষরোপণ করেছেন। দুঃস্থ মানুষজনদের খাওয়াবেন, শীতবস্ত্র দান, পথ সারমেয়দের খাওয়াবেন তাড় পরিবার। ঠিক যেই কাজটা করতে ঐন্দ্রিলা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন। আদরের মিষ্টি আর নেই, পড়ে রয়েছে তার স্মৃতি আর সেটুকু আগলেই দিন কাটছে অভিনেত্রীর বাবা-মার।

Source: bangla . hindustantimes . com