ইন্ডাস্ট্রিতে একসময় ‘মাস্টার রিন্টু’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন অভিনেতা সজল দে। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু হলেও মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় ২০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন অভিনেতা। তবে বর্তমানে আর সেভাবে পর্দায় দেখা মেলেনে অভিনেতার।
মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় থেকে জীবনের কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সজলকে। বাবার অসুস্থতা, আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে তাকে অভিনয় ছেড়ে নিশ্চিত কোনো পেশার দিকেই মন দিতে হয় তাকে। কিন্তু, এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পরও তার কঠিন সময়ে পাশে এসে দাঁড়ায়নি কেউই।
এই প্রসঙ্গে সজল বলেন, ‘তাপস পাল, সন্ধ্যা রায়, শতাব্দী রায়ের মতো আইকনিক অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। সন্ধ্যাদেবী তো আমায় পুত্রের মতো স্নেহ করতেন। কিন্তু সেই ইন্ডাস্ট্রিই আজ আমায় ভুলে গিয়েছে।’
আক্ষেপের সুরে সজল আরও বলেন, ‘আজকাল অনেককেই দেখি যাদের অভিনয়ের ন্যূনতম দক্ষতাও নেই, তারাও সুযোগ পাচ্ছে। আমি তো অঞ্জন চৌধুরী, তরুণ মুখার্জীর হাতে তৈরি একজন অভিনেতা। সুযোগ পেলে যেকোনো চরিত্রে আমি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারি।’
ব্যক্তিগত জীবনেও নানা টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাকে। বেশ কিছু বছর আগে তিনি কন্যা সন্তানের বাবা সজল। দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটি অটিজমে আক্রান্ত। মেয়ের বয়স সাত পেরিয়েছে আজও মেয়ের মুখে বাবা দাক শুনতে পাননি সজল।
রিন্টুর কথায়, ‘আজ সাতটা বছর পরেও আমি বাবা ডাক শুনতে পেলাম না, তবে যুদ্ধ চলবেই।’ জীবনের এই ওঠাপড়ার মাঝে আজও অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা হারাননি সজল। আজও আশা রাখেন, ভবিষতে সুযোগ পেলে আবারও দর্শকদের মন জয় করবেন অভিনেতা।