মারণ ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পেতে সকলেই চায় । সেই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী একাধিক করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শোনা গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO একেবারেই তাড়াহুড়ো করার পক্ষে নয় । এখনই করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা না করাই ভাল। অন্তত ২০২১-এর শুরুর দিক পর্যন্ত ।
বুধবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, করোনা ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে গবেষকরা অনেকটাই এগিয়েছেন । কিন্তু ২০২১-এর শুরুর দিকের আগে বাজারে ভ্যাকসিন আসার প্রত্যাশা না করাই ভাল।
আরও পড়ুন : N-95 মাস্ক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান সোশ্যাল মিডিয়ার এক অনুষ্ঠানে বলেন,”আমরা বেশ ভাল অগ্রগতি করে ফেলেছি । অনেকগুলো ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে এবং সুরক্ষা বা অ্যান্টিবডি তৈরি করার দিক থেকে দেখলে কোনওটিই এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ হয়নি । কিন্তু বাস্তবসম্মতভাবে দেখলে বলতে হবে আগামী বছরের আগে আমরা সাধারণ মানুষকে এই টিকা দিতে পারব না ।”
এর কারণ হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মত, তাঁরা নিশ্চিত করতে চায় গোটা বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন সমহারে বণ্টন হচ্ছে । রায়ান বলছিলেন,” এটা গোটা বিশ্বের সমস্যা। করোনার ভ্যাকসিন না দরিদ্রের জন্য না ধনীদের জন্য। এটা সকলের জন্য। আর আমাদের সেটা নিশ্চিত করতে হবে ।”
আরও পড়ুন : করোনাযুদ্ধে চিকিৎসাবিজ্ঞানের নয়া হাতিয়ার চ্যাডস্ক-১ ও এনকোভ-১৯
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। তাঁদের ভ্যাকসিন নিরাপদ প্রমাণিত হলে বেশিরভাগটাই কিনে নিতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আশা জাগিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ভ্যাকসিন। যা প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল আশানুরূপ ফল দিয়েছে । এবার এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলের অপেক্ষা । আশানুরূপ ফল মিললেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে দেবে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট ।
আরও পড়ুন : করোনা রুখতে ৯০ মিলিয়ন ডোজের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সরকার
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করবে তাঁরা । সব ঠিক থাকলে নভেম্বরেই ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ‘করোনা ভ্যাকসিনে’র ডোজ বাজারে চলে আসবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা । আগামী বছরের প্রথম চার মাসের মধ্যেই ৩০-৪০ কোটি টিকা বাজারে চলে আসবে বলে দাবি তাঁর ।